গোদাগাড়ীতে পেঁয়াজের দামের লাগামহীন ঘোড়াটা যেন থামছেই না। পেঁয়াজের দাম নিয়ে হতাশায় সাধারণ ক্রেতারা। দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। এক দিকে পেঁয়াজের লাগামহীন দাম, অন্য দিকে বাজারে পেয়াজের সংকট। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারন ক্রেতারা। শুক্রবার রাজশাহীর খুচরা বাজারে এখন মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। যা অতীতের সব দামকে ছাড়িয়ে গেছে।
গত সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে অস্থির হয়ে উঠে পেঁয়াজের বাজার। ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। বাংলাদেশ আমদানির ক্ষেত্রে ভারতের ওপরই নির্ভশীল। ফলে দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়তে থাকে। তখন দুই দিনের মধ্যে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা ছাড়ায় দেশি পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় পেঁয়াজও বিক্রি হতে থাকে ১০০ টাকার কাছাকাছি দরে। অবশ্য বাজার তদারকি ও হুজুগ শেষের পর দাম আবার কিছুটা কমে। তবে গত কয়েক দিন ধরে আবার লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের দাম।
শুক্রবার রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজ পুর বাজারে বাজার করতে আসা পিরিজপুর গ্রামের ক্রেতা সাঈম জানান, বাজার ঘুরে তেমন পিয়াজ পাওয়া যায়নি। যাও পাওয়া যাচ্ছে তাতে দাম শুনে মাথায় হাত। দৈনিক খাবারে পেঁয়াজ খেয়ে অভ্যাস হয়ে পড়েছে। তাই ৬০ টাকায় ২৫০ গ্রাম পেয়াজ কিনে বাড়ী ফিরলাম।
ক্রেতা ডালিম বলেন বলেন, ‘মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষরা কেমন করে কিনবে পেঁয়াজ। বাজারে ২৪০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। ২৪০ টাকায় পেঁয়াজ কিনলে অন্য সবজী কিভাবে কিনবো। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন কোথাই যাব! আগের চেয়ে রান্নায় পেঁয়াজ কম দিতে হচ্ছে।’ বাজারে পেঁয়াজ বিক্রিও কমে গেছে।
এক দোকানি জানান, ক্রেতারা আগের চেয়ে অর্ধেক পেঁয়াজ কিনছে। এতে পেঁয়াজ বিক্রি কমে গেছে। তিনি আরো বলেন, ‘গতকালের পেঁয়াজ অর্ধেকও বিক্রি করতে পারিনি। তাই আজকে আর নতুন করে পেঁয়াজ কিনি নাই। কারণ কাস্টমাররা দাম শুনেই ফিরে যাচ্ছে। বিক্রিও কমে গেছে। তার চেয়ে ভালো যে আপাতত পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রাখি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এখন পেঁয়াজের মৌসুম শুরু হওয়ার আগমুহূর্ত চলছে। এ সময় স্বাভাবিকভাবেই একটা সংকট থাকে। আমাদের নতুন পেঁয়াজ এখনো ওঠেনি। কিছুদিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ উঠবে। সেই সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
