• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
কুমিল্লা বিসিকে ফিরছে প্রাণ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কুমিল্লা বিসিকে ফিরছে প্রাণ

  • খায়রুল আহসান মানিক, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১

করোনার প্রভাব শুরু হওয়ার পর ধীরে ধীরে বন্ধ হতে থাকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) কুমিল্লার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ব্যবসায় ধস নামায় শ্রমিকদের বেতন দিতে হিমশিম খাওয়ায় তারা ব্যবসা বন্ধ করে দেন। ১৩০টি সচল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৩২টি চালু থাকে, ৯৮টি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে বিসিক কুমিল্লার ১৩০টি সচল প্রতিষ্ঠানে পুনরায় উৎপাদন শুরু হয়েছে। সরকার ক্ষুদ্র্র ও কুটির শিল্পের সংকট কাটাতে ২০ হাজার কোটি টাকার শিল্প ঋণের প্যাকেজ ঘোষণা করে। কম সুদে দেওয়া ওই ঋণের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২০০ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছে কুমিল্লা জেলা। চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রমের পর এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ওই ঋণ কার্যক্রম কমিটিতে বিসিক কুমিল্লাকে রাখা হয়েছে। ওই ঋণের বাইরে সম্প্রতি বিসিক কুমিল্লার জন্য ১০০ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে সরকার, যা বিসিক কুমিল্লা কর্তৃপক্ষ সরাসরি বণ্টন করবে। ব্যাংকের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে তারা এ ঋণ সহায়তা দেবেন। সহজে ব্যাংক ঋণ পাওয়া, বড় ঋণ সহায়তার আশ্বাস এবং করোনা পরিস্থিতির উন্নয়ন হওয়ায় পুনরায় সচল হয়েছে এসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান।

সূত্রমতে, ১৯৬০-৬১ সালে ৫৪ দশমিক ৩৫ একর এলাকায় স্থাপিত হয় বিসিক কুমিল্লা অঞ্চল। ছয়টি প্লটের মধ্যে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, আবাসিক ভবন ও ওয়াটার ট্যাঙ্ক। বাকি ১৪৯টি শিল্প প্লটে ১৪২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন আছে। এর মধ্যে ৮টি প্রতিষ্ঠান রুেণর তালিকায়, একটি নির্মাণাধীন। তিনটিতে রয়েছে মামলা জটিলতা। সচল থাকা ১৩০টি প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করছেন সাত হাজার ৭১৪ জন। যার মধ্যে তিন হাজার ৯৪৩ জন পুরুষ ও তিন হাজার ৭১১ জন নারী। বাংলাদেশের আটটি পুরোনো বিসিকের মধ্যে কুমিল্লা একটি। এ, বি, সি, ডি ও এস ক্যাটাগরির প্লট বরাদ্দ রয়েছে। সর্বনিম্ন তিন হাজার ও সর্বোচ্চ ২৫ হাজার বর্গফুটের প্লট আছে বিসিকে। প্রতি বর্গফুট ৬৫৬ টাকা করে ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেয় জেলা প্রশাসন। বিসিক কুমিল্লায় রয়েছে একাধিক স্টিল মিল, বেকারি, আয়ুর্বেদিক তৈরির কারখানা, আটা ও পাটজাত পণ্য তৈরির কারখানা, অ্যালুমিনিয়াম, সিলভার ও প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানা এবং কয়েকটি টেক্সটাইল।

বিসিক কুমিল্লা জেলার উপ-মহাব্যবস্থাপক রোকন উদ্দিন বলেন, বন্ধ থাকা রুগ্ণ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু হলে এবং বিসিকের জন্য বরাদ্দ ঋণ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করে দিতে পারলে বিসিক কুমিল্লায় সর্বসাকুল্যে ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এটা বিরাট ব্যাপার। তিনি জানান, যে ১০০ কোটি টাকা বিসিক কর্তৃপক্ষ সরাসরি বিতরণ করবে, তা অল্প সময়ের মধ্যে শুরু করা যাবে। কার্যকরী কমিটির মিটিংয়ের পর রুগ্ণ প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আরো কমে আসবে। সুতরাং খুব সহসাই বিসিক কুমিল্লার আমূল পরিবর্তন ঘটবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads