• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
সৌম্যর পরিকল্পনাই ছিল টিকে থাকা

সৌম্য সরকার

ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেট

সৌম্যর পরিকল্পনাই ছিল টিকে থাকা

  • স্পোর্টস রিপোর্টার
  • প্রকাশিত ০৫ মার্চ ২০১৯

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ইনজুরিতে পড়ায় ওয়ানডে দল থেকে টেস্ট দলে রেখে দেওয়া হয়েছিল সৌম্য সরকারকে। তখন প্রশ্নও উঠেছিল, ইনফর্ম সাব্বির রহমানকে না রেখে সৌম্য সরকারকে রাখা হলো কেন? সেই প্রশ্নের জবাব দিতে সময় নিলেন না সৌম্য। বাংলাদেশ যদিও হ্যামিল্টনে ইনিংস ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে। কিন্তু সৌম্য সরকারের ১৪৯ রানে ভর করে পরাজয়ের ব্যবধানটা একটু কমাতে পারল বাংলাদেশ। আর তিনি জানান, ক্রিজে টিকে থাকার পরিকল্পনাই ছিল তার মনে।

সৌম্য বলছেন, ইনিংসের একটা পর্যায়ে তিনি আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছেন ঠিকই। কিন্তু একটা বড় সময় তিনি খেলে গেছেন স্রেফ টিকে থাকার জন্য। কেন টিকে থাকাটা জরুরি ছিল, সেটা বলতে গিয়ে সৌম্য বলছিলেন- ‘ওই নির্দিষ্ট অবস্থায় আমার লক্ষ্য ছিল কেবল উইকেটে টিকে থাকা। এ ধরনের বোলিংয়ের বিপক্ষে আমি যদি তাড়াহুড়া করতাম, আমার ধারণা, সেটা আমার ওপর এবং আমার দলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলত। আমি এই উইকেটে ও তাদের এই ধরনের বোলিংয়ে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। একবার যখন সেট হয়ে গেছি, তখন আমি বলের মান বিচার করে খেলার চেষ্টা করেছি। আমরা অনেক রানে পেছনে ছিলাম, দুই দিন হাতে ছিল। ফলে এসব জিনিস মাথায় নিয়েই খেলতে হয়েছে আমাকে। আমরা যেহেতু আস্তে আস্তে এগিয়েছি, ফলে অন্য প্রান্তে রিয়াদ ভাই থাকাটা খুব ভালো হয়েছে।’

তবে শুধু টিকে থাকার চেষ্টা করলে যে এক সময় হার মানতে হতো, এটাও জানেন সৌম্য। আর সে জন্যই একটা পর্যায়ে এসে কিছু পাল্টা আক্রমণ করেছেন, ‘এটাও ঠিক যে, আমি উপলব্ধি করেছি, আমি যদি শুধুই টিকে থাকার চেষ্টা করি, তাহলে একটা ভালো বলেই আমার উইকেট চলে যেতে পারে। ফলে আমার রানও করা হবে না। তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে কিছুটা আক্রমণাত্মকও হতে হবে। প্রতি বলেই আক্রমণ করা যাবে না। কিছু আক্রমণ করতে হবে। যাতে ওরা পরিকল্পনা বদলাতে বাধ্য হয়।’

নিজেদের মাটিতে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এ রকম বোলিং খেলার সুযোগ পান না। সৌম্য অকপটে স্বীকার করলেন, তিনি অন্তত এ রকম বোলিংয়ের বিপক্ষে এর আগে কখনো খেলেননি, ‘আমার মনে হয় না যে, আমি এই ধরনের বোলিং পরিকল্পনার বিপক্ষে আগে খেলেছি। বল কাছাকাছি লেংথে পড়ে বাউন্স করছিল। আমি এ ধরনের ফিল্ড সেটআপের বিপক্ষেও আগে খেলিনি।’

সবশেষে সৌম্যর আফসোস আছে। তিনি ইনিংসটা আরেকটু বড় করতে পারলে হয়তো নিউজিল্যান্ডকে আরেকবার ব্যাটিংয়ে নামানো যেত। সেই আফসোসের পরও সৌম্য স্বীকার করছেন, প্রথম সেঞ্চুরিটা তিনি ঠিকই উপভোগ করছেন- ‘আমার মনে হয় আমি আরেকটা লম্বা সময় ব্যাট করলে ওরা আরেকবার ব্যাট করতে বাধ্য হতো। আমি নিশ্চিত যে, আমি থাকলে রিয়াদ ভাই আগের মতোই ব্যাট করে যেত। তারপরও প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি সব সময়ই বিশেষ কিছু। আমি যখন টেস্ট সিরিজের দলে ডাক পেলাম, নিজের প্রথম ফিফটির কথা ভাবছিলাম। এই হ্যামিল্টনেই সেটা পেয়েছিলাম।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads