বিএফডিসির এক নম্বর ফ্লোর। ড্রয়িং রুমের নজরকাড়া সেট। মনিটরে তাকিয়ে আছেন পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমন। চিত্রগ্রাহক ফ্রেম ঠিক করছেন। ক্যামেরার সামনে তখন মিশা সওদাগর, সম্রাট, ডনসহ আরো একজন। পুরো ড্রয়িং রুমের বিভিন্ন জায়গায় শুয়ে আছে আরো বাকি চার-পাঁচজন। বোঝা যাচ্ছে, মার খেয়ে পড়ে আছে সব।
হঠাৎ সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে এগিয়ে এলেন মিশা সওদাগর নিজেই। কুশল বিনিময় পর্ব সেরে বললেন, ‘একটা টেক দিয়েই আড্ডা দিচ্ছি’। মিশা সওদাগর চলে গেলেন তার পজিশনে। শট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত তিনিসহ সহশিল্পীরা। লাইট, ফ্রেম, পজিশন সব কিছু ঠিকঠাক হওয়ার পর শোনা গেল ‘অ্যাকশন’ শব্দটি। মিশা সওদাগর কোমরে রাখা ছুরি বের করে কী একটা বললেন সম্রাটকে। হয়তো ভয় দেখানোর শট। হঠাৎ ‘কাট’ বলে উঠলেন পরিচালক। টেকটা তার মনের মতো হলো না। এভাবে তিনবার ‘কাট’ করার পর পাওয়া গেল ‘ওকে’ শট। পরিচালক ঘোষণা দিলেন পরবর্তী টেকের জন্য জোন রেডি করতে।
শট শেষ করেই মিশা সওদাগর সংবাদকর্মীদের নিয়ে বসে পড়লেন সেটের একটি সোফায়। ‘ক্যাপ্টেন খান ছবির শুটিং চলছে। বড় বাজেটের ছবি। ড্রয়িং রুমের সেটটাও দারুণ হয়েছে। আমার খুব ভালো লেগেছে। বাংলা সিনেমায় এই রকম সেট এর আগে দর্শক দেখেনি।’ এমনটাই বলছিলেন মিশা সওদাগর। তারপর নানান গল্প। সঙ্গে মজার কিছু ঘটনা শেয়ার করলেন।
গল্প করতে করতেই চলে এলো হালকা আপ্যায়ন। একটু পরই ঘোষণা এলো ‘জোন রেডি’। চলে যেতে হবে মিশা সওদাগরকে। বিদায় নিয়ে চলে গেলেন শট দিতে। এবারের শটে দেখা গেল সম্রাটের অ্যাকশন। ‘ভেবেছিস কি তোরা আমাকে মেরে ফেলবি’ সংলাপটি দিয়েই মিশাকে মারতে উদ্যত সম্রাট। এ শটটিও দুই বার টেক নিলেন পরিচালক।
পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ছবিতে শাকিব খানের বন্ধু চরিত্রে অভিনয় করছেন সম্রাট। ছবির কাজ প্রায় ৫০ ভাগের মতো শেষ। পরের লটে যুক্ত হচ্ছেন কলকাতার পায়েল মুখার্জি। ঢাকার শুটিং শেষ করে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেবে ইউনিট। একটা টেক বার বার কেন নিতে হলো? জানতে চাইলে সুমন বলেন, ‘পারফেক্ট শট না পাওয়া পর্যন্ত টেক আমি নিতেই থাকি। এ ব্যাপারে কোনো প্রকার কম্প্রোমাইজ করতে আমি রাজি না।’
