• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ইভিএমে খুশি ভোটাররা

খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়েছে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

নির্বাচন

ইভিএমে খুশি ভোটাররা

  • খুলনা ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৫ মে ২০১৮

খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে দুটিতে ভোট হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সিটির চার লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন ভোটারের মধ্যে এই দুই কেন্দ্রে ভোটার ছিল প্রায় তিন হাজার। মঙ্গলবার ভোট শেষে সব কেন্দ্রের আগে বেসরকারি ফলও পাওয়া যায় এই দুই কেন্দ্রের। ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতায় দারুণ খুশি ভোটাররা; ঝামেলা ছাড়া সহজে ভোট নিতে পেরে স্বস্তিতে নির্বাচনী কর্মকর্তারাও।

নির্বাচন কমিশন তাদের নতুন ইভিএমে সোনাপোতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারীদের এবং পিটিআইয়ের জসিম উদ্দিন হোস্টেলের অস্থায়ী কেন্দ্রে পুরুষদের ভোট নেয়। সোনাপোতা কেন্দ্রের ১০৯৯ ভোটের মধ্যে তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ২৭২ ভোট; নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৯ ভোট। পিটিআই কেন্দ্রের ১৮৭৯ ভোটের মধ্যে মঞ্জু পেয়েছেন ৫১১ ভোট; খালেক ৫০৫ ভোট। ইভিএমের এই দুই কেন্দ্রে সব মিলে খালেক ৭৭৭ ভোট ও মঞ্জু ৭১০ ভোট পেয়েছেন।

জসিম উদ্দিন হোস্টেলের অস্থায়ী কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে হাফিজ মীর নামে একজন বলেন, বোতামে চাপ দিয়েই ভোট দেওয়া যায়, এটা খুব আনন্দের। খুব ভালো লেগেছে। ৫৭ বছর বয়সী কাজী তাহমিনা বেগম অনেকবার সিল মেরে ভোট দিয়েছেন। এবার ইভিএমে ভোট দিয়ে প্রক্রিয়াটি অনেক সহজ মনে হয়েছে তার। তিনি বলেন, আগে ভোটার নম্বর পেতে সমস্যা হতো। এবার আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় বেরিয়ে এসেছে সহজেই। এরপর গোপন বুথে গিয়ে বোতাম চেপে ভোট দিলাম। কালো বোতাম চাপলে প্রার্থীর তালিকা চলে আসে। সবুজ বোতাম চেপে ভোট দিলাম। কত সহজ!

জীবনে প্রথমবার ভোট দিলেও সেটা ইভিএমেই দিয়েছেন সোনাপোতা এলাকার গৃহিনী মরিয়ম মহুয়া। তিনি বলেন, আঙুলের চাপ নিল, তারপর আমার সবকিছু চলে আসল। পরে বুথে গিয়ে ভোট দিলাম। কোনো সমস্যা হয়নি। খুব সহজে ভোট নেওয়ার কথা জানান সোনাপাতা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, ভোট না দিয়ে ফেরত যায়নি কেউ। বেশিরভাগের ক্ষেত্রে সময় কম লাগলেও বয়স্ক ও প্রযুক্তিতে একেবারে অনভিজ্ঞদের ক্ষেত্রে একটু বেশি লেগেছে। ইসির একটি টেকনিক্যাল টিম ভোটিং কর্মকর্তাদের সহায়তা দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভাটারদের স্ক্রিনে ভোটের নির্দেশনাও দেখানো হচ্ছে। ইভিএমের ক্ষেত্রে পোলিং এজেন্টরা কীভাবে ভূমিকা রাখছেন- জানতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার মামুনুর বলেন, ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার পর সবার সামনে ছবি ভেসে উঠছে। এর মাধ্যমে তারা সহজে ভোটারকে সনাক্ত করতে পারছেন।

মহুয়ার মতো রোহেল খানও এবারই প্রথম ভোট দিয়েছেন এবং সেটা ইভিএমে। জসিম উদ্দিন হোস্টেলের অস্থায়ী কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভেতর থেকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে কীভাবে ভোট দিতে হবে। সুন্দরভাবে ভোট দিয়েছি। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মামুন সরকার বলেন, ভোটাররা স্বাচ্ছন্দে ভোট দিয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads