• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
রাজশাহীতে প্রচারণায় কেন্দ্রীয় নেতারা

রাজশাহী সিটি করপোরেশন ভবন

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

রাসিক নির্বাচন

রাজশাহীতে প্রচারণায় কেন্দ্রীয় নেতারা

  • বিজয় ঘোষ, রাজশাহী
  • প্রকাশিত ০৬ জুলাই ২০১৮

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। তারা বিভিন্ন সভা-সেমিনারে অংশ নিয়ে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। মূলত নির্বাচনকে টাগের্ট করে এসব ‘হাই ভোল্টেজ’ নেতা রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে সাধারণ ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন রাসিকের মেয়র প্রার্থীরাও।

বিগত নির্বাচনের চেয়ে এবার রাসিক নির্বাচনে অনেকটাই ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। দু’দলের দুই প্রার্থী সিটি করপোরেশনের দখল নিতে যেন আটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এবার রাসিক নির্বাচনের শুরু থেকেই সভা সেমিনারে শীর্ষ নেতাদের বক্তব্যে উঠে আসছে চ্যালেঞ্জিংয়ের বিষয়টি। বলা হচ্ছে, রাসিক নির্বাচন আওয়ামী লীগের অগ্নিপরীক্ষা। তেমনি বিএনপিও মনে করছে রাসিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সূচনা হবে।

এ ছাড়া নির্বাচন হতে যাওয়া তিন সিটির মধ্যে রাজশাহীর নির্বাচনের দিকে দু’দলের হাইকমান্ড থেকে যেমন নজর রাখা হচ্ছে, তেমনি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে জয়লাভের আশায় শীর্ষ নেতাদের পক্ষে বিভিন্ন কৌশলও অবলম্বন করা হচ্ছে।

গত সোমবার রাজশাহীতে আসেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সভা করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগ থেকে শুরু করে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও এমপিরা। প্রতিটি শীর্ষ নেতার বক্তব্যে উঠে এসেছে রাসিক নির্বাচনের কথা। এমনকি রাসিক নির্বাচনকে আওয়ামী লীগের জন্য অগ্নিপরীক্ষা বলে মন্তব্য করেন দলের শীর্ষ নেতা নানক। তিনি বলেন, রাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর জয়লাভ মানে রাজশাহীবাসীর উন্নয়ন। সভায় বক্তব্য  দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, এমপি ও এনামুল হকসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।

এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার রাজশাহীতে আসেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল। রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, চেয়ারম্যান সিএএবি এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সভা করেন তিনি। এতে তিনি রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। মন্ত্রী ঘোষণা দেন শাহ মখদুম বিমানবন্দর শিগগিরই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিকমানের বিমানবন্দরের রূপ নেবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় আগামী রাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান শাহজাহান কামাল।

এদিকে থেমে নেই বিএনপি। রাসিক নির্বাচনে দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের পক্ষেও চলছে জোর প্রচারণা। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুর পাশাপাশি শীর্ষ নেতারা সভা-সেমিনার করছেন। গত সোমবার রাজশাহী বিভাগের বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে আলোচনা সভা করা হয়েছে। সেখানে বিভাগীয় ও জেলার সভাপতি-সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।

রাসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাবেক ভূমিমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুও রাজশাহীতে অবস্থান করছেন। তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাসিক নির্বাচন নিয়ে অনেকটাই শঙ্কিত। তাদের বক্তব্যে লক্ষ করা যাচ্ছে আতঙ্কের ছাপ। সেই আতঙ্ক থেকে তারা নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। সোমবার বিএনপির বর্ধিত সভায় মিনু বক্তব্য দেন যে, ভোট ডাকাতি হতে দেওয়া হবে না। প্রতিটি ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়ে রাখা হবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাসিক নির্বাচন বিএনপির কাছে জীবন-মরণের প্রশ্ন বলেও মন্তব্য করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads