• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
উপকারী শসা

সংগৃহীত ছবি

স্বাস্থ্য

উপকারী শসা

  • সৈয়দ ফয়জুল আল আমীন
  • প্রকাশিত ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

শসার ভেষজ গুণের শেষ নেই। শসা রান্না ছাড়া সালাদ হিসেবে বা কামড়েও খাওয়া যায়। শসা শরীরের ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করে। ভিটামিন ‘এ’ ‘বি’ এবং ‘সি’র চাহিদা পূরণ করে দেহকে শক্তিশালী করে তোলে। শসার সবচেয়ে ভালো পুষ্টি পেতে হলে সবুজ শাক এবং গাজরের সঙ্গে খাওয়া ভালো। সৌন্দর্যপিপাসু নারী-পুরুষরা শসা ত্বকের যত্নে ব্যবহার করেন। এছাড়া পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে শসা উপকারী।

 

এবার তবে শসার কিছু ভেষজ গুণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক—

চোখের যত্নে : শসা গোল গোল করে কেটে চোখের ওপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট দিয়ে রাখলে চোখের ক্লান্তি দূর হয়, সেই সঙ্গে চোখের জ্বালাপোড়া দূর করে চোখ ভালো রাখে। চোখের ডার্ক সার্কেল দূর করতেও শসা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া শসা থেঁতো করে নিয়ে চোখের ওপর পাতলা কাপড় অথবা তুলা দিয়ে তার ওপর দিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চোখের ডার্ক সার্কেল দূর হবে।

ত্বকের যত্নে : শসা থেঁতো করে এর রসটুকু ছেঁকে নিতে হবে। তারপর এই রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মেশাতে হবে। এবার তৈরি করা মিশ্রণটি টোনার হিসেবে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।

দেহের পানিশূন্যতায় : কাজের ব্যস্ততার কারণে অনেকেরই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা হয়ে ওঠে না। এই পানি ঘাটতি দূর করতে শসার তুলনা হয় না। শসায় ৯০ ভাগ পানি থাকায় দেহের প্রয়োজনীয় পানির অভাব দূর করে শরীর সুস্থ রাখে।

দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে : নিয়মিত শসা খেলে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তাদের জন্য খুবই উপকারী শসা।

দেহের ক্ষতিকর পদার্থ দূরীকরণে : শসা দেহে জমে থাকা ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে শরীর ভালো রাখে এবং এতে কিডনিও সুস্থ থাকে।

অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে : হজম ও কনস্টিপেশনের সমস্যায় নিয়মিত শসা খাবেন। কারণ শসায় আছে এরেপসিন নামের এনজাইম। আলসার গ্যাস্ট্রাইটিস, অ্যাসিডিটির ক্ষেত্রেও তাজা শসার রস উপকারী। শরীরের পিএইচ সমতা বজায় রাখে শসা।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে : ভিটামিন সি, সিলিকা, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে শসা।

ওজন কমায় : শসায় রয়েছে প্রচুর পানি এবং অল্প পরিমাণ ক্যালরি। ফলে যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য শসা আদর্শ খাবার।

মুখের দুর্গন্ধে : শসা মুখের জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। শসায় বিদ্যমান ফাইটোকেমিক্যালস মুখের ভেতরের জীবাণুকে ধ্বংস করে দেয় বলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।

মাথাব্যথায় : সকালবেলায় যাদের মাথাব্যথা হয়, তারা সকালে উঠেই কয়েক টুকরা শসা খেয়ে নিলে সুফল পাবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads