• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

ইরান চুক্তি বাঁচাতে তৎপর ইউরোপ

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৩ মে ২০১৮

ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চুক্তি বাঁচাতে জোর কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ইতোমধ্যে এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন। খবর বিবিসি। 

ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানায়, প্রেসিডেন্ট পুতিন ইরান পরমাণু চুক্তি নিয়ে মেরকেল ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে কথা বলেছেন। মেরকেল বলেন, ইরান চুক্তি বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে ডাউনিং স্ট্রিটের কর্মকর্তারা। 

ফ্রান্সের মতে, যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের উপর তাদের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করায় ইউরোপের বিভিন্ন কোম্পানি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে। ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে নিজেদের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ইরানের একটি চুক্তি হয়। ওই চুক্তিতে বলা হয়, ইরান অন্তত ১০ বছরের জন্য ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরণ হ্রাস করবে। বিনিময়ে দেশটির উপর থেকে ক্রমশ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।

২০১৬ সালে ইরানের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া শুরু হলে জার্মানি ও ফ্রান্সের বড় বড় অনেক কোম্পানি দেশটিতে বিনিয়োগ শুরু করে। এ ছাড়া দেশগুলোর পণ্য রফতানিও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। ইউরোপের বিমান প্রস্তুতকারক কোম্পানি এয়ারবাস ইরানের কাছে প্রায় ১০০টি বিমান বিক্রির চুক্তি করেছে। এখন চুক্তিটি যদি বাতিল হয়ে যায়, তাহলে কোম্পানিগুলো বিপদে পড়বে। কারণ এয়ারবাস বিমানের অনেক যন্ত্রাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনে।

ফ্রান্সের কয়েকটি বড় কোম্পানি ইরানে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে জ্বালানি কোম্পানি টোটাল এবং গাড়ি প্রস্তুতকারক কোম্পানি রেনল্ট ও পোয়গেয়ট উল্লেখযোগ্য। ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লো মেয়া বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত অগ্রহণযোগ্য। ইউরোপ নিজেদের অর্থনৈতিক সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবে। তিনি ইউরোপীয় কমিশনকে সম্ভাব্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও আহ্বান জানিয়েছেন। ইউরোপের কোম্পানিগুলোকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখতে জার্মানির অর্থমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মঙ্গলবার জার্মানি, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জরুরি বৈঠকে বসবেন। এদিকে চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীন, রাশিয়া ও বেলজিয়ামে সফর করবেন। গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ইরান চুক্তি থেকে সরে আসার এবং তেহরানের উপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা দেন। এ ছাড়া তিনি ইরানের ছয় ব্যক্তি ও তিন কোম্পানির ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads