• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
কোনো দেশ আমাদের পক্ষে নেই : পাকিস্তানি কূটনীতিক

পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি

সংগৃহীত ছবি

বিদেশ

কোনো দেশ আমাদের পক্ষে নেই : পাকিস্তানি কূটনীতিক

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতের বিমান হামলার বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে কোনো দেশ কথা বলছে না বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি। যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তানের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত ভারতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এমনকি এক সময়ে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত চীনও পাকিস্তানের পক্ষে কিছু বলছে না। এ ঘটনায় এটাই প্রতীয়মান হয়, জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যাপারে বিশ্বের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।

পিটিআইকে দেওয়া পৃথক সাক্ষাৎকারে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী মইদ ইউসুফ। সাক্ষাৎকারে হুসেইন হাক্কানি বলেন, ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের পক্ষে কোনো দেশ কথা বলেনি। তাছাড়া আইন ভঙ্গ করে পাকিস্তানের আকাশসীমায় ভারতের বিমান হামলা চালানোর ঘটনায় পাকিস্তানকে সমর্থন না দিয়ে চীন দুই পক্ষকেই সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।

হাক্কানি পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীবিরোধী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি। পাকিস্তানের মৌলবাদী গোষ্ঠীগুলো ক্রমাগত তাকে হুমকি দিয়ে আসছে। এখন তিনি থিংক-ট্যাংক হাডসন ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার পরিচালক পদে নিযুক্ত।

হাক্কানি বলেন, পাকিস্তানের অতি উচ্চ জাতীয়তাবাদী আবেগ হয়তো বিষয়টি মানতে চায় না। তবে জঙ্গিদের নিরাপদ স্বর্গের ব্যাপারে বিশ্বের ধৈর্য ক্ষীণ হয়ে আসছে। আর এটা পাকিস্তানের জন্য মোটেও ভালো কিছু নয়। পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী মইদ ইউসুফকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ লোক বলা হলেও তিনি হাক্কানির সঙ্গে এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন।

পিটিআইকে মইদ ইউসুফ বলেন, বৈশ্বিক সমর্থন ভারতকেই দেওয়া হচ্ছে। সেখানে পাকিস্তান বা ভারতের আকাশপথে যে লড়াই হচ্ছে, তা নিয়ে তত মাথা ঘামানো হচ্ছে না। তাই পাকিস্তান এই হামলার ব্যাপারে সর্বোচ্চ মনোনিবেশ করবে এবং এটাকে তীব্রতর হতে দেবে না। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি স্ববিরোধী মনে হলেও এটা সত্য, ভারতের এ হামলা যত সফল হবে, পাকিস্তানের জন্য অন্য পথ খোঁজা ততই কঠিন হবে।

মইদ ইউসুফ বলেন, পারস্পরিক হামলায় দুই দেশ গুরুতর সঙ্কটের দিকে যাবে। এটা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে। কারণ ভারত ও পাকিস্তান জানে কীভাবে সঙ্কট তৈরি হয়।

এ উত্তেজনা থামাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের মতো তৃতীয় কোনো পক্ষের ওপর কখনো নির্ভর করতে জানে না।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামায় দেশটির আধাসামরিক বাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ৪০ জন জওয়ান নিহত হন। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করে। তবে পাকিস্তান সরকার তা অস্বীকার করে আসছে।

এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে নিয়ন্ত্রণ রেখা (লাইন অব কন্ট্রোল) থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে জইশ-ই-মুহাম্মদের সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষণ শিবির বোমা মেরে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। দেশটি দাবি করেছে, এই হামলায় ৩০০ জঙ্গি নিহত হয়েছে। তবে ভারতের এ দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। ১৯৭১ সালের পর পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) এটাই প্রথম হামলা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads