• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ভিআইপিদের সুপারিশে আর ট্রেনের টিকেট নয়

ছবি : সংগৃহীত

যোগাযোগ

ভিআইপিদের সুপারিশে আর ট্রেনের টিকেট নয়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ মে ২০১৯

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, এখন থেকে তারা আর ভিআইপিদের সুপারিশে কাউকে কোনো টিকেট দেবে না। তবে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সচিবরা ট্রেনে চড়ে বাড়ি যেতে চাইলে সে ক্ষেত্রে তারা ৫ শতাংশ কোটা পাবেন। আর রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে ৫ শতাংশ টিকেট। বাকি সব টিকেট এবার সাধারণ যাত্রীদের জন্য ছেড়ে দেবে রেল মন্ত্রণালয়।

এর আগে মন্ত্রী, এমপি, সচিবদের সুপারিশে ঈদের সময় বিপুল পরিমাণে ‘ভিআইপি টিকেট’ বিক্রি হতো। তাতে ঈদযাত্রায় রেলের টিকেট পেতে সাধারণ মানুষের আরো বেশি ভোগান্তি পোহাতে হতো। ঈদযাত্রার জন্য সাধারণ মানুষ যেন আরো বেশি টিকেট পান, সে জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় মন্ত্রণালয়।

রেলওয়ে মহাপরিচালক রফিকুল আলম বলেন, এবার ঈদ টিকেটে মাত্র দুটি কোটা থাকবে- একটি রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য এবং আরেকটি ভিআইপি। দুটি মিলিয়ে ১০ ভাগ কোটা থাকবে। বাকি সব টিকেট উন্মুক্ত থাকবে সাধারণ যাত্রীদের জন্য। এমপি, সচিব, অতিরিক্ত সচিবরা আগে ডিও লেটার পাঠিয়ে বহু টিকেট চেয়ে বসতেন। এবার এ রকম কোনো ডিও লেটার গ্রহণ করা হবে না। যারা প্রকৃত ভিআইপি এবং ট্রেনে ভ্রমণ করবেন, কেবল তাদেরই ভিআইপি হিসেবে বিবেচনা করে টিকেট দেওয়া হবে।

রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবার ঈদে ভিআইপি কোটা বিলুপ্তই করতে চেয়েছিলেন। তবে শেষমেশ তিনি মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন- যেখানে বলা হয়েছে কেবল মন্ত্রী, সচিব, এমপি ও বিচারপতিরা নিজেরা যদি ট্রেনে চড়ে ঈদযাত্রা করতে চান তাহলেই তারা টিকেট পাবেন। তাদের ডিও লেটার বা সুপারিশে কোনো টিকেট ইস্যু করা হবে না।

ঈদে এবার ঢাকা থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের প্রায় ৩০ হাজার টিকেট বিক্রি হবে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বিক্রি হবে অ্যাপের মাধ্যমে। এবারই প্রথম কমলাপুর ছাড়াও চারটি স্থানে টিকেট বিক্রি করা হবে। সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকেট দেওয়া হবে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া পুরাতন রেল ভবনের কাউন্টার থেকে। যমুনা সেতু হয়ে পশ্চিমাঞ্চলগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকেট পাওয়া যাবে কমলাপুর কাউন্টারে। এছাড়া ময়মনসিংহ-জামালপুরগামী আন্তনগর ট্রেনগুলোর টিকেট দেওয়া হবে তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশন থেকে; নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জগামী আন্তনগর ট্রেনগুলোর টিকেট  রাজধানীর বনানী রেলওয়ে স্টেশন থেকে এবং চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকেট পাওয়া যাবে বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে। 

২২ মে বিক্রি করা হবে ৩১ মের টিকেট, ২৩ মে পাওয়া যাবে ১ জুনের টিকেট, ২৪ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকেট, ২৫ মে বিক্রি হবে ৩ জুনের টিকেট ও ২৬ মে বিক্রি হবে ৪ জুনের টিকেট। এদিকে ফিরতি টিকেট বিক্রি শুরু হবে ২৯ মে। প্রথম দিন দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকেট, ৩০ মে বিক্রি হবে ৮ জুনের টিকেট, ৩১ মে বিক্রি হবে ৯ জুনের টিকেট, ১ জুন বিক্রি হবে ১০ জুনের টিকেট এবং ২ জুন বিক্রি হবে ১১ জুনের টিকেট।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads