• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
খানাখন্দে ভরা গোয়ালন্দে মহাসড়ক

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে যানবাহন চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে। ছবিটি দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে তোলা

প্রতিনিধি

যোগাযোগ

খানাখন্দে ভরা গোয়ালন্দে মহাসড়ক

  • গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ অক্টোবর ২০১৯

ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত ও ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহন চলাচলের গতি কমে গেছে। প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। তবে রাজবাড়ীর সড়ক বিভাগ জানিয়েছে সড়কের এ দুরবস্থা নিরসনে তারা জরুরী ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলার মোকবুলের দোকান হতে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট পর্যন্ত ৯ কিমি মহাসড়কের খুবই বেহাল অবস্থা। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে অবস্থা আরো বেগতিক হয়ে পড়েছে। ৯ কিমি মহাসড়কের দৌলতদিয়ার বাংলাদেশ হ্যাচারী হতে দৌলতদিয়া টার্মিনাল পর্র্যন্ত প্রায় ৩ কিমি অংশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এ অংশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে খানা-খন্দের। এতে যান চালকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও পোহাতে হচ্ছে নানা দুর্ভোগ।

দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনের চায়ের দোকান্দার খলিল উল্লাহ বলেন, এখানে মহাসড়কে বড় বড় গর্তের তৈরী হয়েছে। গর্তের মধ্যে চলন্ত যানবাহনের চাকা পড়লে নোংরা কাঁদাপানি ছিটে দোকানে চলে আসে। লোকজনের শরীর নোংরা হয়ে যায়।

গোয়ালন্দ পৌর জামতলা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী কুদরত মন্ডল, তোতা মিয়া, আলাল শেখ, চায়ের দোকান্দার আবু তালেবসহ অনেকেই জানান, এ এলাকায় মহাসড়কে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই কাঁদা-পানি জমে দুর্বিসহ অবস্থার সৃষ্টি হয়। গর্তে গাড়ীর চাকা পড়ে কাঁদা-পানি ছিটে দোকানে চলে আসে।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেবিএম সাদ্দাম জানান, আমি রাস্তার খারাপ অবস্থা দেখেছি। অতি দ্রুত জরুরীভাবে মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। তাছাড়া মহাসড়কের বসন্তপুর থেকে দৌলতদিয়া টার্মিনাল হয়ে বাইপাস সড়কসহ মোট ১৯ কিমি এলাকায় ৫০ মিলি মিটার পুরুত্ব দিয়ে কার্পেটিং কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। ইতিমধ্যে মোকবুলের দোকান পর্যন্ত প্রায় ১০ কিমি এলাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৪ মার্চ ২০২০ পর্যন্ত সময় থাকলেও তার অনেক আগেই রাস্তার অবশিষ্ট কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads