• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ঈদ ঘিরে গুলিস্তানে চার কোটি টাকার চাঁদাবাজি

ঈদ ঘিরে গুলিস্তানে চার কোটি টাকার চাঁদাবাজি

সংরক্ষিত ছবি

অপরাধ

ঈদ ঘিরে গুলিস্তানে চার কোটি টাকার চাঁদাবাজি

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০১৮

ঈদ ঘিরে রাজধানী ঢাকার ফুটপাথে চাঁদাবাজি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এবার রোজার শুরুতেই ফুটপাথে দোকান যেমন বেড়েছে, তেমন বেড়েছে চাঁদাবাজদের তৎপরতা আর চাঁদার পরিমাণ। গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, খিলগাঁও তালতলাসহ বেশকিছু এলাকার হকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফুটপাথে চাঁদাবাজি বন্ধে পুলিশের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। চাঁদা না দিলে লাইনম্যানরা পুলিশকে দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করে। চাঁদা তুলতে পুলিশই লাইনম্যান নিয়োগ দেয়। তারা চাঁদা তুলে দখলদার নেতা ও পুলিশকে বুঝিয়ে দেন। এভাবেই চলে আসছে বছরের পর বছর। অবশ্য পুলিশ বলছে, রাজধানীতে সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণেই তারা সক্রিয় রয়েছে।

রাজধানীকে যানজটমুক্ত রাখতে সিটি করপোরেশন অফিস সময়ে হকারদের ফুটপাথে বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও কার্যত কোনো উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। নিয়ম অনুযায়ী অফিস ছুটির পর হকাররা ফুটপাথে বসতে পারবেন। কিন্তু সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানের মধ্যেও সকাল থেকেই ফুটপাথ দখল করে হকারদের বসতে দেখা যায়।

গুলিস্তানে ফুটপাথ আছে ৩০টি। এসব ফুটপাথে হকারদের দোকান প্রায় সাড়ে চার হাজার। দোকানমালিকদের মধ্যে ২ হাজার ৫০২ জন সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত। বাকিরা তালিকাভুক্ত নয় এবং তাদের বেশিরভাগই রাস্তা দখল করে দোকান বসান। হকাররা জানান, এই সাড়ে চার হাজার দোকান থেকে প্রতিদিন গড়ে দেড় শ টাকা করে চাঁদা তোলা হতো। গত শুক্রবার প্রথম রোজার দিনই তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আগে প্রতিদিন এই চাঁদার পরিমাণ ছিল প্রায় সাত লাখ টাকা। দ্বিগুণ হওয়ায় রোজার এই মাসে চাঁদার পরিমাণ দাঁড়াবে চার কোটি টাকার বেশি। রাজধানীর অন্যান্য এলাকার ফুটপাথেও এ ধরনের চাঁদাবাজি হয়। তবে সেটা কী পরিমাণ সে হিসাব জোগাড় করা সম্ভব হয়নি।

গুলিস্তানের হকাররা আরো জানান, গত বছরও রোজার শুরুতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের নির্দেশে তাদের উচ্ছেদ করা হয়। এবার হয়েছে উল্টো। হকাররা বেপরোয়াভাবে ফুটপাথ ও রাস্তা দখল করে ফেলেছেন। এবার বাড়তি হিসেবে রাস্তায় নামানো হয়েছে ভ্যানগাড়ি। এতে দিন-রাত যানজট লেগেই আছে।

ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, রাজধানীতে সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। ছদ্মবেশে অধিকাংশ মার্কেটের সামনে কাজ করছেন গোয়েন্দারা। এ ছাড়া নগরীর আটটি ক্রাইম জোনে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বড় অঙ্কের টাকা লেনদেনে পুলিশের সহায়তা নিতে নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads