• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছি

গণভবনে ইনস্টিচিটউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইউ)-এর তিন দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি : বাসস

সরকার

আইডিইবির কনভেনশনে প্রধানমন্ত্রী

মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দক্ষ জনশক্তি গড়তে সরকার প্রত্যেক উপজেলায় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দর আগামীর জন্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারসহ সবাইকে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০০টির কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ৪টি সরকারি মহিলা পলিটেকনিক ও ২৩টি বিশ্বমানের নতুন পলিটেকনিক স্থাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।

গতকাল  শনিবার গণভবনে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) ২২তম জাতীয় কনভেনশনের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কী পেলাম, কী পেলাম না, তার চিন্তা না করে আগামী প্রজন্ম যেন সুন্দর জীবন পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের দেশকে আগে গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে সবাইকে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক বছর আমাদের নষ্ট হয়ে গেছে, ’৭৫ থেকে ’৯৬ ২১টি বছর হারিয়ে গেছে। যে সময়টা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের কোনো উন্নতিই হয়নি। উন্নতি হয়েছে ক্ষমতাসীনদের এবং তাদের ঘিরে থাকা মুষ্টিমেয় গোষ্ঠীর। বৃহৎ জনগোষ্ঠী কিন্তু বঞ্চিতই ছিল। সরকারপ্রধান বলেন, এই বঞ্চিত মানুষকে বঞ্চনার হাত থেকে মুক্তি দেওয়াই আমি মনে করি আমার দায়িত্ব। তিনি বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই দেশকে স্বাধীন করেছি। তাই একে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই আমরা গড়ে তুলব।

বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও তাকে হত্যার প্রসঙ্গ টেনে তার কন্যা বলেন, ছয় বছর দেশে আসতে পারিনি, আমাদের দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। ’৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে সভানেত্রী নির্বাচিত করলে আমি এক প্রকার জোর করেই দেশে ফিরে এলাম। তার পর থেকেই আমার প্রচেষ্টা এই স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী পেলাম, কী পেলাম না- সে চিন্তা আমি কখনো করিনি। ছেলে-মেয়েকে বললাম একটাই সম্পদ দেব- সেটা হচ্ছে শিক্ষা, তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে, আর কোনো সম্পদ নয়।

সরকারি কর্মচারীদের বেতন ১২৩ ভাগ বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রত্যেকের কাজের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দিয়েছি, কর্মক্ষেত্রে কাজের পরিবেশ যাতে সুন্দর হয় সে ব্যবস্থা আমরা করেছি এবং সর্বোপরি এত বেশি প্রকল্প আমরা হাতে নিয়েছি এবং কাজ করে যাচ্ছি যার সুফল বাংলাদেশের জনগণ পাচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রকৌশলীদের একটা ইনক্রিমেন্টের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি কর্মচারীদের যে হারে বেতন বাড়িয়েছি তাতে আর কিছু দাবি না করাই উচিত ছিল। তারপরও আপনাদের ইনক্রিমেন্টের ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটা বৈঠক হয়েছে। এ ব্যাপারে শিগগিরই একটি ভালো ঘোষণা আসতে পারে।

দক্ষ মানবসম্পদের চেয়ে কোনো সম্পদই বড় নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা এজন্য জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কারিগরি শিক্ষা বিষয়ে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। তার সরকার এমডিজি বাস্তবায়নে সফল হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আলোকে আমরা এসডিজির বিভিন্ন অভীষ্ট অর্জনে কাজ করে যাচ্ছি। ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনেও আমরা সফল হব, ইনশাআল্লাহ। এ সময় তিনি টেকসই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে শত বছরের ডেল্টা প্ল্যান বা বদ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অগ্রগতি এখন আর কেউ থামাতে পারবে না। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। বাসস।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads