• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
এক বছরে সড়কে নিহত ৪৪৩৯, চালক ৫৬৬

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সংগঠনের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন

সংরক্ষিত ছবি

দুর্ঘটনা

এক বছরে সড়কে নিহত ৪৪৩৯, চালক ৫৬৬

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

গত এক বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৪৩৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মোট ৩ হাজার ১০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় এসব প্রাণ ঝরেছে। এ তথ্য জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) সংগঠনের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।

গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ২০১৮ সালের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৮ সালে সড়কে ৫ হাজার ৫১৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ২২১ জন। আহত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৬৬ জন। সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথের মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৮টি। এসব দুর্ঘটনায় মোট নিহত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৯৬ জন। আহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৮০। লিখিত বক্তব্যে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৪৩৯ জনের প্রাণ গেলেও ৭ হাজার ৪২৫ জন আহত হয়েছেন। ছয়টি জাতীয় দৈনিক, শাখা সংগঠনগুলোর রিপোর্ট, টেলিভিশন, অনলাইন পত্রিকার তথ্য ও অপ্রকাশিত ঘটনা থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

কীভাবে সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তার চিত্র তুলে ধরেন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘গত বছর গাড়িচাপায় ১ হাজার ৫৩৫ জন, মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮৭৩ জন, উল্টোপথে চলতে গিয়ে ২৭১ জন, গাড়ি খাদে পড়ে ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৬৬ জন চালকও রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৬০ জন মোটরসাইকেল চালক, ৬৪ জন বাসচালক ও ৫৯ জন ট্রাকচালক রয়েছেন।

নিসচা আন্দোলনের চেয়ারম্যান বলেন, গত বছরের জুন মাসে সবচেয়ে বেশি ৩৮১ জন দুর্ঘটনায় নিহত হন আর সবচেয়ে কম নিহত হন নভেম্বরে ২৪৫ জন।

জেলাভিত্তিক সড়ক দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত বছর সবচেয়ে বেশি ঢাকা মহানগর ও আশপাশের ৩৩৯টি দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন নিহত হয়েছেন।

ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ২০১৮ সালে বেশিরভাগ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বড় বড় শহর ও হাইওয়েতে। ছোট ছোট অবৈধ যানবাহন যেমন ভ্যান, রিকশা, নসিমন, অটোরিকশা ইত্যাদি বেশি দায়ী বলে প্রতীয়মান হয়।

সড়ক দুর্ঘটনারোধের ব্যাপারে তিনি বলেন, ট্রাফিক নির্দেশনা অমান্য করা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা, নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানো-নামানো, ওভারটেকিং, পাল্টাপাল্টি ও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সব মহাসড়কে উচ্চতাসম্পন্ন সড়ক বিভাজন তথা রোড ডিভাইডারের ব্যবস্থা করতে হবে।

বিভিন্ন সংস্থার নিহতের সংখ্যার তারতম্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এজন্য সরকারকে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করতে হবে। তারা না পারলে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হোক।

চালকের বিচারের বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পরিবহন সেক্টরের লোকজনদেরকে, সংগঠনকে, নেতাদেরকে সরকার খুবই ভয় পায়। এই ভয় পাওয়ার জন্যই তারা (সরকার) সেভাবে ব্যবস্থা নেয় না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads