• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
মানুষ বাঁচানোই উদ্ধারকর্মীদের লক্ষ্য ছিল

জীবন বাজি রেখে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা

ছবি : সংগৃহীত

দুর্ঘটনা

মানুষ বাঁচানোই উদ্ধারকর্মীদের লক্ষ্য ছিল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ মার্চ ২০১৯

রাজধানীর বনানীতে এফআর টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। ঐক্যবদ্ধ উদ্ধারকর্মীদের একটাই লক্ষ্য ছিল- মানুষের জীবন বাঁচানো, তা যে করেই হোক। তাদের অন্তহীন প্রচেষ্টায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, নৌবাহিনী বিমানবাহিনী ও বিএনসিসির সদস্যরা এক হয়ে চালিয়েছেন উদ্ধার তৎপরতা। শুধু তাই নয়, স্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী ও রেডক্রিসেন্টের সদস্যরাও এতে যোগ দিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে ২২ তলাবিশিষ্ট এফআর টাওয়ারের ৯ তলায় আগুনের সূত্রপাত হয়। দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে ভবনসংলগ্ন এলাকা। কখনো ভবনটির ভেঙে পড়ে কাচ। কিন্তু কোনো প্রতিকূল অবস্থায়ই দমাতে পারেনি উদ্ধারকারীদের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনের ভেতরে আটকেপড়াদের উদ্ধার করে আনেন তারা।

রেডক্রিসেন্টের উদ্ধারকর্মী সজীব ব্যাপারী বলেন, প্রথমে আগুনের যে চিত্র দেখা গিয়েছিল তার ভয়াবহতা আরো বেশি হতে পারত। কিন্তু উদ্ধারকর্মীদের সবার লক্ষ্য একটাই ছিল- মানুষের প্রাণ বাঁচানো, তা যে করেই হোক। সবার চেষ্টায় ভবনে আটকে থাকা বেশিরভাগ মানুষকেই জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরা ভবনটির ছাদ থেকে নামিয়ে আনেন অনেককেই। এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিসসহ অন্য বাহিনীর বেশ কয়েকজন উদ্ধারকর্মী আহত হয়েছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী জুবায়ের আহমেদ বলেন, উদ্ধারকর্মীদের আন্তরিকতার কারণে বেঁচে গেছে অনেক প্রাণ। যেভাবে আগুন লেগেছিল, আমরা ভেবেছিলাম হয়তো পুরান ঢাকার মতো লাশের মিছিল হবে। কিন্তু উদ্ধারকর্মীরা সকাল থেকে যেভাবে কাজ করেছেন, তা কোনো সিনেমাকেও হার মানায়। এই উদ্ধারকর্মীরাই আসল হিরো।

উদ্ধারকৃতদের যাতে হাসপাতালে যেতে কোনো বেগ পেতে না হয় সেজন্য বড় ভূমিকা রেখেছেন ছাত্ররা। উৎসুক জনতার কারণে জটলা হয়ে রাস্তা যাতে বন্ধ না হয়ে যায়, সেজন্য স্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হাতে হাত রেখে ব্যারিকেড তৈরি করেন।

বনানীতে ঢোকার মুখে উৎসুক জনতাকে আটকাতে বিনয়ী সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির বিবিএ’র ছাত্র মুকিত কামাল। বনানী থেকে মহাখালী ও কুর্মিটোলা হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তা যাতে বন্ধ হয়ে না যায় সেজন্য কাজ করেন তিনি।

প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রিপোলি বিভাগের শিক্ষার্থী আজীম হোসেন দৌড়াচ্ছিলেন অ্যাম্বুলেন্সের যাতায়াত নির্বিঘ্ন রাখার প্রচেষ্টায়। তিনি বলেন, চুড়িহাট্টায় ঝলসে যাওয়া লাশ দেখে বেশ কয়েক রাত ঘুমাতে পারিনি। আজো সেই ভয় পেয়েছিলাম। আমরা সবাই একসঙ্গে হয়ে চেষ্টা করেছি যাতে একটি মৃত্যুর সংবাদও শুনতে না হয়। এখনো জানি না কতটুকু করতে পেরেছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads