• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে আগুন: দগ্ধ চিকিৎসকের মৃত্যু

সংগৃহীত ছবি

দুর্ঘটনা

হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে আগুন: দগ্ধ চিকিৎসকের মৃত্যু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৮ জুলাই ২০২০

রাজধানীর হাতিরপুলের নিজ বাসায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক রাজিব ভট্টাচার্য (৩৬) মারা গেছেন। 

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি।

ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডা. রাজিব ভট্টাচার্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন এবং তার স্ত্রী ডা. অনূসূয়া ভট্টাচার্য (৩২) শ্যামলী সেন্ট্রাল মেডিকেল চক্ষু বিভাগের রেজিস্ট্রার।

গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর হাতিরপুলের একটি বাসায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হন এ চিকিৎসক দম্পতি।  পরদিন বুধবার সকালে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালে ভর্তির পর বুধবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, রাজিবের শ্বাসনালীসহ শরীরের ৮৭ শতাংশ ও আর তার স্ত্রীর ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। রাজিবকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। তার অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। স্ত্রীর অবস্থাও গুরুতর। যতটুকু শুনেছি বাসার ভেতর হ্যান্ড স্যানিটাইজার আগুনের সংস্পর্শে এলে এ অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটে।

স্বজনরা জানান, রাজিবের বাড়ি কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার ইস্টগ্রামে। একমাত্র মেয়ে রাজশ্রী ভট্টাচার্যকে (৫) নিয়ে হাতিরপুল ইস্টার্ন প্লাজার পেছনের একটি বাড়ির ৩য় তলায় ভাড়া থাকেন। তার বাবার নাম লক্ষ্মণ ভট্টাচার্য। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে রাজিব সবার ছোট। আর অনূসূয়ার বাড়ি সিলেট।

হাসপাতালে দগ্ধ রাজিবের বন্ধু ডা. সুদীপ দে বলেন, রাতে বাসায় রাজিব একটি বড় বোতল থেকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছোট বোতলে ঢালছিলেন। তখন বোতল থেকে স্যানিটাইজার পড়ে গেলে মুখে সিগারেট অথবা মশার কয়েলের আগুনের সংস্পর্শে তার শরীরে আগুন লেগে যায়। তা দেখে তার স্ত্রী সম্ভবত তাকে বাঁচাতে গিয়ে তিনিও দগ্ধ হন। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের ভাড়াটিয়ারা তাদের উদ্ধার করে রাতেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads