• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৯ জনের প্রাণহানি

সংগৃহীত ছবি

দুর্ঘটনা

ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৯ জনের প্রাণহানি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ মে ২০২১

করোনা মহামারীর কারণে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও এবারের ঈদ যাতায়াতে সড়ক দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে। গত ১৪ মে ঈদুল ফিতরের দিনসহ ৬ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত মোট ১২ দিনে সড়ক, মহাসড়ক ও পল্লী এলাকাসহ সারা দেশে ২০৭টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওই সব দুর্ঘটনায় ২৪৯ জন নিহত ও ৩৮৫ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার পরিবেশ ও নাগরিক অধিকার-বিষয়ক দুটি সামাজিক সংগঠন গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি) এবং নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক যৌথ প্রতিবেদনে এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়। দেশের ১৫টি জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক এবং আটটি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে যৌথভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ৩৫ নারী, ২৯ শিশু, ২৩ পথচারী এবং চালকসহ ২৭ জন পরিবহন শ্রমিক রয়েছেন। দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা সর্বশেষ ঈদের (গত বছরের ঈদুল আজহা) ছুটির চেয়ে বেশি বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

এতে বলা হয়, ২০২০ সালে ঈদুল আজহার দিনসহ আগে ও পরে ১২ দিনে সারা দেশে ১৮৭টি দুর্ঘটনা ঘটে; যেখানে ২২৯ নিহত ও ৩১৮ জন আহত হন। এ সময় সর্বোচ্চ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে ৯৮টি; যেখানে মৃত্যু হয়েছে ১০৭ জনের। এ সময়ের মধ্যে মহাসড়কে ৩৩ দশমিক ৫, অভ্যন্তরীণ সড়কে ৩৬, গ্রামীণ সড়কে ১৮ দশমিক ৫ এবং শহর এলাকার সড়কে ১২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সংগঠন দুটির যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দূরপাল্লার বাস, যাত্রীবাহী অভ্যন্তরীণ নৌযান এবং ট্রেন চলাচলের ওপর

 সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে এবারের ঈদে সড়ক, মহাসড়ক ও গ্রামাঞ্চলের সড়কগুলোতে বিপুলসংখ্যক প্রাইভেটকার ও অন্যান্য ছোট যানবাহন চলাচল করেছে। এগুলোর ওপর কার্যত সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কড়া নজরদারি ও তদারকি ছিল না। সুতরাং দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এসব যানবাহন অনেকাংশে দায়ী।

এ প্রসঙ্গে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে গণমাধ্যমকে বলেন, যথাযথ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার অভাব, ট্রাফিক আইন সম্পর্কে যাত্রী ও সাধারণ মানুষের অসচেতনতা, গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন ও বিধিবিধানের তোয়াক্কা না করা, যুবকদের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো এবং ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চলাচল এসব দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে দক্ষ চালক তৈরি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) শক্তিশালী ও গতিশীলকরণ এবং প্রচলিত আইন ও বিধিমালার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads