• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

এশিয়া

আফগানিস্তানে বোমা বিস্ফোরণ ৯ সাংবাদিকসহ নিহত ৪০

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০১ মে ২০১৮

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে গতকাল সোমবার জোড়া বোমা হামলায় ৮ সাংবাদিকসহ ২৯ জন নিহত ও ৪৯ জনের অধিক আহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া সিএনএন সূত্রে জানা যায়, হামলাকারীদের একজন টেলিভিশন ক্যামেরাম্যানের ছদ্মবেশে সাংবাদিকদের ওপর আত্মঘাতী হামলা চালায়।

সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে কাবুলের ব্যস্ততম এলাকা শাশদারাকে প্রথম বোমা হামলা চালানো হয়। এই এলাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ছাড়াও আফগান সরকারের বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবন অবস্থিত। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও সাংবাদিকরা জড়ো হলে একই স্থানে পরিকল্পিতভাবে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাবুল সিটি পুলিশের মুখপাত্র হাশমত স্তানিকাজি।

আলজাজিরা জানায়, প্রথম বোমা হামলাটি হয় আফগানিস্তানে ন্যাটোর সদর দফতর এবং যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাছাকাছি। ওই একই স্থানের কাছেই প্রেসিডেন্ট ভবন, প্রতিরক্ষা ভবন এবং আফগান গোয়েন্দা সংস্থার সদর দফতর অবস্থিত। হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জন বাস নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘কাবুলের আজকের হামলায় নিন্দা জানাই এবং আফগান জনগণের শান্তি সুরক্ষায় এবং নিরাপত্তায় আমাদের অবস্থান নিশ্চিত করছি। যারা নিহত হয়েছেন এবং সহিংসতার মাঝেও সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো নিহত সাংবাদিকদের প্রতিও শোক জানাই।’

আফগানিস্তানের সাংবাদিক নিরাপত্তা কমিটির নির্বাহী প্রধান নাজিব শরিফির মতে, বোমা হামলায় একজন নারীসহ নয় সাংবাদিক নিহত হয়েছে। নিহত সাংবাদিকদের মধ্যে এএফপির আলোচিত আলোকচিত্রী শাহ মারাই রয়েছেন। এ ছাড়াও আহত সাংবাদিকদের মধ্যে কাতারভিত্তিক মিডিয়া আলজাজিরার সাংবাদিকও রয়েছেন।

এক টুইটবার্তায় গ্লোবাল নিউজ ডিরেক্টর মাইকেল লেরিডন মারাইয়ের মৃত্যু সংবাদ দেন এবং পেশাগত দক্ষতার সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করতেন বলেও জানান। গত ১৫ বছর ধরে এএফপির হয়ে আফগান যুদ্ধের ছবি তুলছিলেন মারাই। ১৯৯৬ সালে গাড়িচালক হিসেবে এএফপিতে যোগ দিয়ে ২০০২ সালে আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং অল্পদিনেই ব্যুরোপ্রধান হয়ে যান। লেরিডন তার টুইটবার্তায় নিহত সাংবাদিকদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেন।

দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াহিত মাজরোহ জানান, জোড়া বোমা হামলায় আহতদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। এর আগে গত সপ্তাহেই কাবুলের একটি ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ৫৭ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছিল। চলতি বছরের ২০ অক্টোবর দেশটিতে বহু প্রতীক্ষিত সংসদীয় এবং জেলা কাউন্সিল পর্যায়ে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। বছরের শুরুতে এই নির্বাচনের সময় ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বোমা হামলার ঘটনা বেড়েছে দেশটিতে। গত রোববার দেশটির দক্ষিণের হেলমান্দ প্রদেশে অপর এক গাড়িবোমা হামলায় দুই আফগান পুলিশসহ মোট ছয়জন নিহত হয়।

প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে তালেবানদের একটি পক্ষ সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। তখনই তালেবানদের অপর একটি পক্ষ ওই শান্তি আলোচনার বিরোধিতা করে এবং সহিংসতার জন্য আফগান সরকার ও এর নীতিমালাকে দায়ী করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads