• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯
এবার কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন সু চি

মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি

সংরক্ষিত ছবি

এশিয়া

এবার কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন সু চি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

এবার কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব হারাচ্ছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি। বিষয়টি কানাডার পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে এবং আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে আসা ট্রুডো বুধবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান। রোহিঙ্গা ইস্যুতে এর আগেও তাকে দেওয়া বহু পুরস্কার প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। খবর দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় সু চির নাগরিকত্ব বাতিল করার জন্য ব্যাপক চাপ রয়েছে। রাখাইনে সেনাবাহিনীর বর্বর অভিযানে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে বলে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দিয়েছেন আইনপ্রণেতারা। এ ছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিয়েছেন দেশটির হাউজ অব কমন্সের সদস্যরা।

গত বছর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ৭ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা। সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতনের ঘটনায় চুপ ছিলেন সু চি। এ বর্বরতা বন্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন মিয়ানমার নেত্রী। শুধু তাই নয়, তিনি সব সময় সেনাবাহিনীর পক্ষেই কথা বলেছেন। তাই তাকে দেওয়া সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিলের আলোচনায় সম্মতি দিয়েছেন বলে জানান ট্রুডো।

১৯৭৭ সালে কানাডার পার্লামেন্ট অং সান সু চিকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দিয়েছিল। তাই এ বিষয়ে আমরা অবশ্যই আলোচনা করতে পারি। কিন্তু একটা বিষয় পরিষ্কার মিয়ানমারের নেত্রীর কানাডার নাগরিকত্ব আছে কি নেই সেটি রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা রাখে না। এদিকে কানাডার অটোয়ায় বসবাস করা রোহিঙ্গা রাইস তিনমঙ সূ চির নাগরিকত্ব বাতিলের বিষয়ে আলোচনা করতে ট্রুডোর দেওয়া সম্মতিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, কানাডার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা সু চির নেই।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads