• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
করোনা ভাইরাস: এবার হংকংয়ে একজনের মৃত্যু

সংগৃহীত ছবি

এশিয়া

করোনা ভাইরাস: এবার হংকংয়ে একজনের মৃত্যু

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০

হাসপাতাল কর্মীদের ধর্মঘটের ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে হংকংয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চীনের বাইরে এ ভাইরাসের দুইজন প্রাণ হারালেন। এর আগে গত রোববার ফিলিপাইনে একজন মারা যান। 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, মঙ্গলবার সকালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হংকংয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি গত ২১ জানুয়ারি চীনের উহান শহরে গিয়েছিলেন এবং দু’দিন পর হংকং ফিরে আসেন।

উহান ভ্রমণের সময় কাঁচা বাজার বা হাসপাতালে যাননি বলে তিনি এর আগে কর্তৃপক্ষকে জানান। গত ২৯ জানুয়ারি থেকে তার মাংসপেশি ব্যাথা করছিল এবং ৩১ জানুয়ারি থেকে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। 

হংকংয়ে ৭০ লাখ লোকের বসবাস। চীনের এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবিতে গতকাল সোমবার থেকে ধর্মঘটে নামে নগরীটির হাসপাতাল কর্মীরা। যা আজও অব্যহত রয়েছে। হসপিটাল অথরিটি এমপ্লয়িজ অ্যালায়েন্সের (এইচএইএ) শত শত সদস্য এ ধর্মঘটে নেমে পড়েন। প্রাণঘাতি এ করোনা ভাইরাসে এ মৃতের ঘটনায় ধর্মঘট আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। 

তবে এখন পর্যন্ত হংকংয়ের নেতা ক্যারি লাম চীনের সঙ্গে হাইস্পিড ট্রেন ও আন্তঃসীমান্ত ফেরি চলাচল স্থগিত করলেও সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার মতো কোনো পদক্ষেপ নেননি। এ রকম পদক্ষেপ ‘অনুচিত ও অকার্যকর’ হবে বলে জানান নগরটির সরকার প্রধান ক্যারি লাম। 

চীনের পাশাপাশি বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশের ১৫০ জন ব্যক্তির শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। চীনের বাহিরে সবচেয়ে বেশি সন্ধান মিলেছে থাইল্যান্ডে (১৯) , এরপরই হংকং (১৫)। তবে এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে মেডিকেল কর্মীদের ধর্মঘটে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নগরটির সরকার। 

এদিকে মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস গোটা চীনকে একঘরে করেছে। গত বছরের শেষ দিন শুরু হওয়া এ ভাইরাসে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক (৬৪ জন) ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে গতকাল সোমবার। 

আক্রান্ত হয়েছে নতুন করে আরও ৩ হাজার ব্যক্তি। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২৬ জনে। অপরদিকে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। ফলে দেশটিতে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা এখন চরমে। 

বিশ্ব থেকে প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশটি। চীনের খাদ্য ও ভারি শিল্প নির্মাণ হয় করোনার উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশ থেকেই। ফলে, খুব শিগগিরই তাদের কঠিন পরিস্থিতিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

মরণঘাতি এ ভাইরাস ক্রমে বেড়ে চলায় জাপান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ তাদের আকাশ পথ সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়। তাদের পর গত রোববার থেকে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ। এবার দাবি তুলেছে হংকংয়ের হাসপাতাল কর্মীরা। 

করোনভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশ তাদের দেশের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তাদের অনেককে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে। সন্দেহভাজনদের হাসপাতালে ও আশঙ্কা এড়াতে অন্যান্যদের আলাদা স্থানে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।  

গত ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads