• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
দেশীয় প্রজাতির মাছের দখলে চাঁদপুরের ইলিশ আড়ৎ

চাঁদপুর মাছ ঘাটে ইলিশের আমদানি না থাকায় দেশীয় প্রজাতির কাতল মাছ প্যাকেটজাত করছে আড়ৎদাররা

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

দেশীয় প্রজাতির মাছের দখলে চাঁদপুরের ইলিশ আড়ৎ

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০১৮

জাটকা সংরক্ষণের জন্য মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ছিলো। ১ মে থেকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও এখনও ইলিশের রাজধানী নামে খ্যাত চাঁদপুর মৎস্য আড়তে (মাছঘাটে) রূপালি ইলিশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে আসছে না। আর যে পরিমাণ ইলিশ আসছে তা আকারে ছোট এবং দামও অনেক বেশী। আর এসব মাছ চাঁদপুর মাছ ঘাটে না এসে বেশী দামের আসায় নদী থেকে ফড়িয়ারা দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছে। আর এতে দেশীয় প্রজাতির মাছের দখলে চলে গেছে চাঁদপুরের ইলিশ আড়ৎ।

সোমবার সকালে শহরের মাছঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বহু শ্রমিক ঘাট সংলগ্ন নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছে। কখন ইলিশ নিয়ে ঘাটে আসবে ট্রলারগুলো। পাড়েই  আছে ইলিশ উঠা-নামার কাজে ব্যবহৃত বাঁশের তৈরী টুরকিগুলো। ইলিশের আমদানি কম হওয়ায় অনেকটা বেকার সময় কাটাতে হচ্ছে মাছঘাটে বিভিন্ন কাজে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৩০০ শ্রমিক।

মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, সকাল ১১টা থেকে দপুর ১টা পর্যন্ত চাঁদপুরের সবচেয়ে বড় এই মৎস্য আড়তে চলে পাইকারী ও খুচরা কেনাবেচা। গত ১ মে থেকে ১৯ মে পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন ১৫-২০মন ইলিশ আমদানি হচ্ছে। আর এসব ইলিশ বেশীরভাগই আসছে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, রায়পুর চাঁদপুর সদর ও হাইমচর এলাকা থেকে। আর কোনো কোনো দিন ভোলা থেকেও প্যাকেট করা ইলিশ আমদানি হয় এই আড়তে।

মাছঘাটের মেসার্স মিজানুর রহমান কালু ভুঁইয়া মৎস্য আড়তের ম্যানেজার ফারুক হোসেন জানান, নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও রূপালি ইলিশের আমদানি হচ্ছে না। তবে চলতি মাসের শেষের দিকে নদীতে পানি বাড়লে ইলিশ আমদানি বাড়বেও।

মেসার্স আব্দুল আজিজ এ- বাদার্স মৎস্য আড়তের ম্যানেজার জয়নাল জানান, রূপালি ইলিশের আমদানি খুবই কম। ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৩০০ টাকা, ৫০০ গ্রামের ইলিশের মূল্য ৬০০ টাকা, ৭ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের মূল্য ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ১ কেজি ওজনের ইলিশের মূল্য ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা।

একই আড়তের আরেক ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানান, জাটকা রক্ষা কর্মসূচী শেষ হওয়ার পরে মূলত দেশীয় প্রজাতির মাছই আড়ৎ দখল করে আছে। দেশীয় প্রজাতির মধ্যে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, পোয়া ও তাপশি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ থেকে ৪০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, আইড় মাছ প্রতি মণ ২৭ থেকে ২৮ হাজার টাকা। এসব মাছই শহর ও গ্রামাঞ্চলের খুচরা মৎস্য ব্যবসায়ীরা কিনে নিচ্ছেন।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী জানান, জাটকা সংরক্ষণ কর্মসূচী এ বছর ভালভাবেই শেষ হয়েছে। এখনও রূপালি ইলিশের কাঙ্ক্ষিত দেখা পাচ্ছে না জেলেরা। তবে বর্ষা মৌসুমেই ইলিশের আমদানি বাড়বে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads