• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে চার শ্রমিকের মৃত্যু

সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে চার শ্রমিকের মৃত্যু

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে চার শ্রমিকের মৃত্যু

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৮ মে ২০১৮

খাগড়াছড়ি ও যশোরের শার্শায় সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করার সময় চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়িতে দুজন ও শার্শায় দুজন মারা যান। গতকাল রোববারের এসব ঘটনায় আরো তিন শ্রমিক গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

খাগড়াছড়ি : জেলা সদরের মৎস্য হ্যাচারির নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে নেমে বিষক্রিয়ায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। নির্মাণ শ্রমিক সাইফুল ইসলাম জানান, সকালে সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে নামে রফিকুল ইসলাম। দীর্ঘ সময়ে তার কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে রমজান আলী ট্যাঙ্কে নামেন। তারও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে কিছুক্ষণ পর অন্যরা ট্যাঙ্কের পাশের দেয়াল ভেঙে মুমূর্ষু অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। উদ্ধারের সময় সাইফুল ইসলাম নামে আরো এক শমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, ধারণা করা হচ্ছে অক্সিজেনের অভাবে ট্যাঙ্কের বিষক্রিয়ায় দুই শ্রমিকের মৃত্যু ঘটতে পারে।

বেনাপোল : যশোরের শার্শা উপজেলায় সেপটিক ট্যাঙ্কে কাজ করতে নেমে ইমন (২২) ও বিপ্লব (২৭) নামে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ওলিয়ার রহমান (৩০) ও রফিকুল ইসলাম (৩২) নামে অপর দুই শ্রমিক আহত হন। নিহত ইমন শার্শার সম্মন্ধকাটি গ্রামের কুতুব উদ্দিন দুখের ছেলে এবং বিপ্লব একই গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।

এলাকাবাসী জানান, শার্শার দক্ষিণ বুরুজ বাগান গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী মকর আলীর বাড়িতে নবনির্মিত সেপটিক ট্যাঙ্কের মধ্যে সেন্টারিংয়ের কাঠ-বাঁশ খুলতে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় চার শ্রমিক কাজ শুরু করেন। সেপটিক ট্যাঙ্কের মুখ খুলে তারা কাজ শুরু করলেই গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়ির মালিকের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে বুরুজ বাগান (শার্শা) স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন। অসুস্থ বিপ্লবের অবস্থার অবনতি হলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। অপর দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads