• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে মুরারীদহের মিয়ার দালান

মুরারীদহের মিয়ার দালান

সংরক্ষিত ছবি

সারা দেশ

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে মুরারীদহের মিয়ার দালান

  • ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ জুন ২০১৮

ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বদিকে নবগঙ্গা নদীর উত্তরের মুরারীদহ গ্রামে রয়েছে মিয়ার দালান বা চৌধুরীবাড়ি। মিয়ার দালান বা চৌধুরীবাড়ির নির্মাণকাল নির্ণয় না করা গেলেও প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী এই ইমারতের প্রধান ফটকে নির্মাণকালের কথা কাব্যিকভাবে খোদাই করা আছে। তাতে লেখা, ‘শ্রীশ্রী রাম, মুরারীদহ গ্রাম ধাম, বিবি আশরাফুন্নেসা নাম, কি কহিব হুরির বাখান। ইন্দ্রের অমরাপুর নবগঙ্গার উত্তর ধার, ৭৫ হাজার টাকায় করিলাম নির্মাণ। এদেশে কাহার সাধ্য বাঁধিয়া জল মাঝে কমল সমান।’ এলাকাবাসী জানান, বহু আগে কোনো এক জমিদার এটি নির্মাণ করেন তার প্রেয়সী আশরাফুন্নেসার নামে উৎসর্গ করতে। জমিদারবাড়ির এই দালানটি ১৯৪৭ সালের দেশভাগের সময় কিনে নেন মুরারীদহের সেলিম চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি। এ কারণে ভবনটিকে স্থানীয়রা মিয়ার দালান বা সেলিম চৌধুরীর বাড়ি বলে থাকেন।

মিয়ার দালান বা সেলিম চৌধুরীর বাড়ির বৈশিষ্ট্য হলো, ওই বাড়ি থেকে নবগঙ্গা নদীর নিচ দিকে একটি সুড়ঙ্গ নেমে গেছে নদীতে। সুড়ঙ্গের প্রবেশমুখ এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। নদীতে যেভাবে বাঁধ দিয়ে মনোমুগ্ধকর ইমারতটি নির্মাণ করা হয়, সেভাবে তৈরি আর কোনো পুরনো ইমারত ঝিনাইদহ শহর বা আশপাশে দেখা যায় না।

বাড়িটির ব্যাপক পরিচিতির একটি বড় কারণ ছিল, একটি বিশেষ খেজুর গাছ যেটিতে একাধিক মাথা ছিল এবং প্রতিটি মাথা থেকেই রস আহরণ করা যেত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাজারো দর্শক বাড়িটি দেখতে ভিড় জমান। ঐতিহাসিক এই নিদর্শনের সংরক্ষণ জরুরি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads