• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সাকো ভেঙ্গে পড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে কালুখালি রতনদিয়া ইউনিয়নের মানুষ

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

বাঁশের সেতু ভেঙে দুর্ভোগে ২৫ গ্রামের লাখো মানুষ

  • রাজবাড়ী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ অক্টোবর ২০১৮

পদ্মার চরাঞ্চল থেকে নদী পাড়ি দিয়ে জেলা-উপজেলার হাটবাজারে আসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল বাঁশের সাঁকোটি। কিন্তু সাঁকোটি ভেঙে দুর্ভোগে পড়েছে কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের ২৫ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ।

ওই ইউনিয়নে পদ্মা নদীর শাখা কোল বলে পরিচিত হিরু মোল্লার ঘাট। উপজেলা শহররক্ষা বাঁধের ওপারে প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য ২০১৩ সালে প্রায় ১০০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ইউনিয়ন পরিষদ। চলতি বছরের বর্ষায় পানির তোড়ে সেটা ভেঙে যায়। বাধ্য হয়ে তাই খেয়া নৌকায় হতে হচ্ছে পারাপার। সময়মতো নৌকা না মেলায় পোহাতে হয় ভোগান্তি। এতে ব্যাহত হচ্ছে এলাকার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও কৃষি পণ্যের বাজারজাত। ভুক্তভোগীদের দাবি, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সাঁকো সংস্কার না করে দ্রুত একটি ব্রিজ নির্মাণ দরকার।

রতনদিয়া ইউপির ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মাসুদ শেখ বলেন, নদীর ওপারে চলাচলের জন্য বাঁশের তৈরি সাঁকো বর্ষায় স্রোতে ভেঙে যাওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষের যাতায়াত খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে। একটি মাত্র নৌকা দিয়ে মানুষ পারাপার হচ্ছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভোগান্তির শেষ নেই। রতনদিয়া ইউনিয়নের হরিণবাড়িয়া, মাধবপুর, চাঁদপুর বাজার থেকে কালুখালী উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হাটবাজারে মানুষ আসে।

কালুখালী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী চায়না খাতুনের অভিযোগ, প্রতিদিন নদী পার হয়ে কালুখালী উপজেলায় আসতে হয়। বিদ্যালয়ে সময়মতো পৌঁছাতে পারি না। একটি ব্রিজ হলে লেখাপড়ায় অনেক সুবিধা হতো। মুদি দোকানি করিম মোল্লা জানান, নৌকা ফেল করলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যর অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে।

রতনদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসিনা পারভীন নিলুফা জানান, কয়েক বছর আগে উপজেলা পরিষদ এই সাঁকোটি নির্মাণ করে দেয়। পরবর্তী সময়ে আমি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ২ লাখ টাকা ব্যয়ে সাঁকোটি সংস্কার করে দিয়েছি। শুকনো মৌসুমে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারলেও এখন পানি উঠে যাওয়ায় তারা আর চলাচল করতে পারছে না। কালুখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, রতনদিয়ার মানুষের বর্ষাকালে প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আপদে-বিপদে তাদের উপজেলায় আসতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। রতনদিয়া ইউনিয়নের হিরু মোল্লার ঘাট হয়ে পদ্মা নদী পর্যন্ত এই একটি রাস্তা। এখানে বড় ২টি ব্রিজ প্রয়োজন। কালুখালীর ইউএনও মোহাম্মদ তোফায়েল আহম্মেদ জানান, সাঁকোটি সংস্কারের জন্য অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেব। এ ছাড়া ব্রিজ নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads