• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
ফরিদগঞ্জে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

ফরিদগঞ্জে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ নভেম্বর ২০১৮

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার আলোনিয়া গ্রামে মা আলিমের নেছাকে ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার দায়ে ছেলে মো. সফিকুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান এ রায় দেন।

হত্যার শিকার আলিমের নেছা ওই গ্রামের মো. সাহাজ উদ্দিনের স্ত্রী এবং যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া মো.সফিকুর রহমান তার ছেলে।

মামলার বিবরণ থেকে জানাযায়, ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টার দিকে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা না দেয়ায় আসামী সফিকুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাকে দা দিয়ে গলার মধ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। কিছুক্ষণ পরে ওই কক্ষ থেকে শব্দ হলে সাহাজ উদ্দিন ওই কক্ষে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তার স্ত্রীকে দেখতে পান। তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই আলিমের নেছার মৃত্যু হয়। পরদিন সকালে পুলিশ খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠায়।

এই ঘটনায় ওইদিনই বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে সাহাজ উদ্দিন ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করে সন্দেহজনক ভাবে নিহতের ছেলে সফিকুর রহমানকে আটক করে। পরে আদালতের কাছে মাকে সে নিজেই হত্যা করেছে মর্মে জাবনবন্দি দেয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাৎকালীন সময়ের ফরিদগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির একই বছর ৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ বলেন, মামলাটি গত ৩ বছর চলাকালীন সময়ে ১১ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামীর উপস্থিতিতে উল্লেখিত রায় দেন।

সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহমেদ অভি এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. কামরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads