• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ড. কামাল বিশ্বাস ঘাতক ও মুনাফেক : রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম

শাহরাস্তির চিতোষী পূর্ব ইউনিয়নে গণসংযোগকালে পাঞ্চাইল গ্রামে মা-বোনদের সাথে কথা বলছেন মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি। এসময় তিনি একটি শিশুকে কোলে নিয়ে আদর করেন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ড. কামাল বিশ্বাস ঘাতক ও মুনাফেক : রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২২ ডিসেম্বর ২০১৮

একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের হাজীগঞ্জের বাকিলা, রাজারগাঁও ও দ্বাদশ ইউনিয়নে ইউনিয়নে দিনব্যাপী গণসংযোগ করেছেন মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি। শনিবার সকালে তিনি গণসংযোগ শুরু করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেন।

পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ড. কামাল একজন বিশ্বাস ঘাতক ও মুনাফেক। তিনি ৭১’র ঘাতক, যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-বিএনপির সাথে জোট বেঁধে দেশের সাথে বিশ^াস ঘাতকতা করেছেন। তার বিচার করবে ইতিহাস। দেশের জনগন তাকে ক্ষমা করবেনা।

তিনি বলেন বিএনপি মানুষকে বিদ্যুত না দিয়ে শুধা খাম্বা বিক্রয় করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। হাওয়া ভবনের মাধ্যমে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল।

তিনি বলেন, পেট্রোল বোমা দিয়ে শত শত মানুষকে নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। অনেক মানুষ আজীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ। তারা দূর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। দেশ বিরোধীদের সাথে জোট করেছে। ২১ বছর ক্ষমতায় ছিলো দেশের জন্য কিছুই করে নাই। তারা আবার জনগনের কাছে কোন মুখে ভোট চাই। আপনারা তাদের প্রত্যাখ্যান করবেন।

তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির জনগনের সাথে ২৩ বছর এক সাথে কাটানের স্মৃতিময় দিনগুলো তুলে ধরে বলেন, আমি আপনাদের সাথে ২৩ বছর আছি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের পাশে থাকতে চাই। তিনি বলেন, আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই। মা-বাবা নেই, স্ত্রী ছিল সেও মৃত্যুবরণ করেছে। এক ছেলে ও এক মেয়ে দেশের বাহিরে থাকে। আপনারাই আমার আপনজন। আপনাদের সাথে আমি মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েগেছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকের টানা ৫ বছর নমিনেশান দিয়েছে। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌক উন্নয়নের প্রতীক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও নৌকা মার্কা একে অপরের সাথে জড়িত। জাতীয় পতাকা পেয়েছি, নৌকার জন্যই। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছি। আবারো একটি যুদ্ধ করতে হবে। স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত ৩০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়নি গত ১০ বছরে তার উন্নয়নে হয়েছে। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে ডাকাতিয়া নদীর উপর ৭টি সেত করা হয়েছে। ৮ম সেতুর কাজ চলমান রয়েছে। সাড়ে ৪’শ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয়েছে। সাড়ে ৬’শ স্কুল, মাদরাসা ভবন করা হয়েছে। ৬’শর মতো ছোট বড় ব্রীজ কালভার্ট করা হয়েছে। যাদের জায়গা আছে ঘর নেই এমন দূঃস্থ মহিলাদের ঘর করে দেয়া হয়েছে। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা। এসব এলাকায় এখন মানুষ না খেয়ে মরেনা।

তিনি বলেন, এখন আমাদের উন্নয়নের কাজ প্রায় শেষ। এবার নির্বাচনের পর বাকী উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত কর হবে। হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির প্রত্যেক পরিবারের ১জন করে সন্তানকে চাকুরী দেয়া হবে।

গণসংযোগ ও পথসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্য-নিবার্হী কমিটির সাবেক সদস্য অধ্যাপক একেএম ফজলুল হক, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা মো. সিরাজউদ্দিনি আহমেদ, হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ হেলাল উদ্দিন মিয়াজী, সাধারণ সম্পাদক গাজী মাইনুদ্দিন, চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা প্রকৌ. মোহাম্মদ হোসাইন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন ইসলাম, কালোচোঁ উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. মুজিবুর রহমান, মো. আবু তাহের, হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক বীরমুক্তিযুদ্ধা মাহবুবুল আলম চুন্নু জেলা পরিষদের সদস্য বিল্লাল হোসেন, সংরক্ষিত নারী সদস্য জান্নাতুল ফেরদাউস, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক মুরাদ, কোষাধ্যক্ষ রোটা. আলহাজ আসফাকুল আলম চৌধুরী, হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌ. সফিকুর রহমান, পৌর মহিলা লীগের সভানেত্রী ফেরদৌস আকতার, রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারন সম্পাদক এস এম মানিক, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতিা খোরশেদ আলম, আওয়ামীলীগ নেতা তাজুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, আলী নূর নিপু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলি, সাধারণ সম্পাদক আবু ইউছুফ গাজী মোহন, ছাত্রলীগ নেতা রাজু, ইয়াছিন হামিদ, রাজীব অন্যান্য নেতৃবৃন্দ’সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গণসংযোগে কালোচোঁ উত্তর ইউনিয়নের মাড়কীতে বিএনপি নেতা মামুন ও তারাপল্লায় বিএনপি নেতা ওচমান মিয়াজীর নেতৃত্বে অর্ধশতাধীক নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

এ ছাড়াও কালেচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামীগ কর্তৃক আয়োজিত নির্বাচনীয় আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির হাতে ফুলের নৌকা তুলে দিয়ে বিএনপি নেতা বীরমুক্তিযুদ্ধা নুরুল ইসলাম মল্লিক ও মমিন ভূইয়া এবং মিজানুর রহমান সিনহার নেতৃত্বে শতাধীক বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মী আওয়ামীলীগের কার্যক্রমে সন্তুষ্ট হয়ে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads