• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
 ঝালকাঠিতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলছে যানবাহন

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

নির্মাণকাজ শেষ হয়নি ৩ বছরেও

ঝালকাঠিতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলছে যানবাহন

  • প্রকাশিত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

অলোক সাহা, ঝালকাঠি 

ঝালকাঠিতে খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কের কৃষ্ণকাঠি এলাকার জেলা আনসার ভিডিপি অফিসসংলগ্ন পিসি গার্ডার সেতুটির নির্মাণকাজ তিন বছরেও শেষ হয়নি। যার ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে পুরোনো সেতু দিয়ে চলাচল করছে যাত্রীবাহী গাড়িসহ দূরপাল্লার বিভিন্ন পরিবহন। কাজের ধীরগতির কারণে ব্যস্ততম এলাকায় প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। এ বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কবে নাগাদ সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাছ থেকে দ্বিতীয় দফায় ছয় মাস সময় বাড়িয়েও সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ করতে পেরেছে মাত্র ৩০ ভাগ। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, শিগগরিই এ সেতুর কাজ শেষ করা হবে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সওজের তত্ত্বাবধানে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সদরের মানপাশা টেম্পোস্ট্যান্ড ও জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয় থেকে গাবখান সেতুসংলগ্ন বৈদারাপুর পর্যন্ত ৯ কিমি সড়কের সম্প্রসারণ ও সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করে ওয়েস্টার নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কাজের সঙ্গে আলাদাভাবে দরপত্রের মাধ্যমে একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মানপাশা টেম্পোস্ট্যান্ড সংলগ্ন ৪৪ (চুয়াল্লিশ) মিটারের দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণের কাজটি পায়। এ কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় কোটি টাকা। ২০১৭ সালের শুরুতে এ সেতুর জমি অধিগ্রহণের পরে কাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকদের সঙ্গে ঝামেলার কারণে দীর্ঘ দিন কাজ বন্ধ ছিল। ২০১৮ সালের শেষের দিকে আবার কাজ শুরু করে ঠিকাদার। সেই থেকে এখন পর্যন্ত কাজের মাত্র ৩০ ভাগ শেষ হয়েছে। সেতুর পিলারের রড বাঁধাই করে আংশিক ঢালাই করা হয়েছে। সেতুর মূল ভিত্তি পিলার, উইন ওয়াল (দেয়াল), অ্যাপর্টমেন্ট ওয়াল ও রূপ স্লাব (চলাচলের জন্য সেতুর ওপরের মূল ঢালাই) কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে। কাজের মেয়াদ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শেষ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছয় মাস বাড়ানোর আবেদন করে। সওজ কর্তৃপক্ষ এ বছরের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বর্ধিত করে। অন্যদিকে কাজের শুরু থেকে তিন বছর পর্যন্ত পাশের পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি দিয়ে বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন ভারী যান চলাচল করছে। লোহার সেতুটি কাজের সুবিধার্থে কেটে সরু করা হয়েছে। পরিবহন সেতুতে উঠলে অপর প্রান্তের গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে অনেক সময় মহাসড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পরে যায়। অথচ লোহার সেতুটি আগে প্রশস্ত থাকায় দুটি গাড়ি পাশাপাশি অতিক্রম করতে পারত। সেতুটিও নড়বড়ে থাকায় একটি বড় আকারের গাড়ি উঠলেই সেটি দুলতে থাকে। এতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টারের প্রকৌশলী এনায়েত হোসেন বলেন, দ্বিগুণ শ্রমিক নিয়োগ করে জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টা করব। নির্বাহী প্রকৌশলী শামীমা ইয়াসমিন বলেন, আশা করি, ঠিকাদার তার নির্ধারিত দ্বিতীয় মেয়াদের মধ্যেই কাজ শেষ করবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads