• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
নিজের ক্যাম্পাসে নিজেরাই অবহেলিত

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ইনস্টিটিউট স্থায়ীকরনের দাবি

নিজের ক্যাম্পাসে নিজেরাই অবহেলিত

  • বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব আইসিটি স্থায়ী করণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) এর “শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব আইসিটি” এর শিক্ষার্থীরা ৷

আজ মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয় ৷

এসময় ইনস্টিটিউটের সিএসই বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাবিতা ইসলাম সেতু জানান, প্রশাসন আমাদের সাথে প্রতারনা করেছে ৷ আমাদের সকল সুবিধার কথা বলা হলেও সেগুলো আমরা পাচ্ছিলাম না ৷ পরবর্তীতে ভিসি অপসারনের আমরা যখন ক্যাম্পাসে আসি এখানেও আমরা পর্যাপ্ত সুবিধা পাচ্ছি না ৷ আমরা নিজ ভার্সিটিতে রোহিঙ্গার মতো অবস্থান করছি ৷ এখানে কোনো স্যারের কাছ থেকে সহানুভূতি পাচ্ছি না ৷ নিজস্ব কোনো প্রশাসন পাচ্ছি না ৷ আমাদের ঠিক মতো পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না ৷ রেজাল্টও ঠিক মতো পাচ্ছি না ৷ এক কথায় আমরা এখানে অবহেলিত অবস্থায় রয়েছি ৷ আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সঙ্কায় রয়েছি ৷ আমাদের পরিবারও আমাদের নিয়ে খুবই চিন্তিত ৷ আমাদের দাবি আমাদের পর্যাপ্ত পরিমান ল্যাব ব্যবস্থা করতে হবে, নিজস্ব শিক্ষক চাই, নিজস্ব গভর্নিং বডি চাই, হল সুবিধা চাই, পরবর্তী ব্যাচ ভর্তি করে ইনস্টিটিউট চলমান চাই ৷

এব্যাপারে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব আইসিটি এর দায়িত্বে থাকা সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. বি কে বালা জানান, আমি যখন 'শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট অব আইসিটি ইন্সটিটিউট' এর দায়িত্বে ছিলাম তখন আমি জানতাম তাদের সকল ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে। এখন আমি এই ইন্সটিটিউট এর দায়িত্বে নেই, এখন এই আইসিটি ইন্সটিটিউটের ব্যাপারে কিছুই জানি না।

সনদের ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানান, আইসিটি ইন্সটিটিউট থাকলে আইসিটি ইন্সটিটিউট এর সার্টিফিকেটই পাবে তারা। কিন্তু এখন তো আইসিটি ইনস্টিটিউট নেই, তাই তারা আইসিটি ইন্সটিটিউট এর সার্টিফিকেট পাবে না৷

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ইনস্টিটিউটের বর্তমান ডিন ড. মোঃ শাহজাহান জানান, অবকাঠামো সহ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এমন শর্তে ইনিস্টিটিউটটির অনুমোদন দিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। কিন্তু সাবেক উপাচার্য নূন্যতম সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করেই ইনিস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে যার ফলে এধরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তাদের অবস্থা দুঃখজনক, কিন্তু এই অবস্থা নিরসনে যেসকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন সেগুলো চলতি উপাচার্য হিসেবে আমার ক্ষমতার বাইরে।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিবচর ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ১০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে চালু হয় শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ৷ পরবর্তীতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থার অভাবে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ইনস্টিটিউটে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করা হয় ৷

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads