এউ মুহূর্তে করোনা অন্য সব রোগ ও এর চিকিৎসার খবরাখবর কেড়ে নিয়েছে। এটি যেমন সত্য। তেমনি করোনায় চিকিৎসায়ে এখন সব চেয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডাক্তাররা, এটাও একটি বড় সত্য ঘটনা। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে জন্ম এক নবজাতককে জীবিত অবস্থাতেই মৃত ঘোষণা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ব
র্তমানে কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে নবজাতক শিশুটিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান।
ভুক্তভোগী নবজাতকের বাবা জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে তার স্ত্রী প্রসব বেদনা নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। শুক্রবার সকাল ৬টায় সিজারিয়ানের মাধ্যমে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু জন্মের পর নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে ওই হাসপাতালে কর্মরত এক আয়া প্রথমে স্বজনদের কাছ থেকে একটি কাঁথা নিয়ে শিশুটিকে মুড়িয়ে মেঝেতে ফেলে রাখেন।
এর পর নবজাতককে কার্টনে মধ্যে ফেলে রাখা হয়। এ অবস্থায় প্রায় ৪ ঘণ্টা রাখার পর ওই নবজাতককে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।পরে বাড়ি নিয়ে দাফনে জন্য কার্টন খুললে নড়ে ওঠে নবজাতক শিশুটি। তাৎক্ষনিকভাবে নবজাতককে নগরীর বেসরকারি একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নবজাতকটি ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিতসাধীন রয়েছে।
ওই হাসপাতালের নবজাতক এনআইসিইউতে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. রাব্বি হোসেন মজুমদার বলেন, “শিশুটি এখন শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। সাধারণ শিশুদের থেকে সে অনেক কম শ্বাস-প্রশ্বাস নিচ্ছে। তাই আমরা অক্সিজেন দিয়ে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছি।”