রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় শনিবার বিকেলে মারা গিয়ে রাস্তার ধারে পড়ে থাকে এক মানসিক প্রতিবন্ধীর (৪০) লাশ। করোনা আতঙ্কে স্থানীয়ভাবে কেউ লাশটির কাছে যাওয়ার সাহস পায়নি। পরে প্রায় ৬ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে লাশটিকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
রোববার সকালে মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নমুন সংগ্রহের পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশটিকে দুপুরে মর্গে পাঠানো হয়।
রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজই (রোববার) আমরা সংগৃহিত নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠাবো।
দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ সহিদুল ইসলাম জানান, তার স্কুল গেটের পাশে একটা বন্ধ দোকানের সামনে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আস্তে আস্তে সেখানে ভিড় জমলেও আতঙ্কে কেউ লাশের কাছে যেতে সাহস করেনি।
মৃত ব্যক্তি মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল। তার এক পায়ে পূর্বের কোন আঘাতজনিত কারনে বড় ধরনের ঘা ছিল। পাশাপাশি খুবই অসুস্থ ছিল বলে শুনেছি।
দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল জানান, খবর পেয়ে আমি ইউএনও স্যার ও থানার ওসিকে অবগত করি। তারা আমাকে স্থানীয়ভাবে অথবা আঞ্জুমান-ই-মফিদুলের মাধ্যমে লাশটি দাফনের ব্যবস্থা করতে বলেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে এলাকার কেউ লাশটির কাছে যেতে সাহস পায়নি। পরে ঝড়-বৃষ্টি শুরুর প্রাক্কালে (রাত সাড়ে ১০টা) পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, আমরা রাতেই লাশটি উদ্ধার করি। রবিবার লাশটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।