নরসিংদীর রায়পুরায় হাঁসের খামারে বসানো বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে খাজা মঈন উদ্দিন (১১) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মঈন উদ্দিন একই ইউনিয়নের পলাশতলী গ্রামের মো. হয়রত আলীর ছেলে ও টকিপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
খবর পেয়ে রায়পুরা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রবাস ফেরত মো. দুলাল মিয়া তার দুই বিঘা জমিতে ৪০০ হাঁসের একটি খামার ও লিচু বাগান গড়ে তোলেন। শেয়াল ও চোরের উপদ্রব রোধে জি আই তারের নেটের মাধ্যমে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতেন দুলাল। আজ সকালে খামারে ডিম উত্তোলন ও লিচু পাড়ার জন্য মঈন উদ্দিনকে ডেকে আনেন দুলাল। পরে খামারের জি আই তারের মাধ্যমে বসানো বিদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান মঈনউদ্দিন।
নিহত মঈন উদ্দিনের মা আকলিমা বলেন, দুলাল তার ছেলেকে অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায়ই খামারের কাজ করাতো। সকালে খামারের ডিম ও বাগান থেকে লিচু পাড়তে ছেলে মঈন উদ্দিনকে ডেকে নিয়ে যায় দুলাল। খামারের বিদ্যুতিক ফাঁদে স্পৃষ্ট হয়ে মঈন উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
তবে খামারের মালিক মো. দুলাল মিয়া বলেন, বৈদ্যুতিক ফাঁদের প্রশ্নই আসে না। গত রাতের বজ্রপাতের কারণে খামারের জি আই তারে বিদ্যুৎ ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি বলেন, আমি সকালে ঘুমিয়ে ছিলাম। সেই ফাঁকে খামারে ঢুকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মারা যায় মঈন উদ্দিন। তবে মঈন উদ্দিনকে দিয়ে খামারের কাজ করানোর কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
রায়পুরা থানার সাব ইন্সপেক্টর শেখ ফরিদ আহমেদ বলেন, নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশ বিদ্যুতে ঝলসে গেছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
