টাঙ্গাইলের সখীপুরে বোয়ালী হামিউস সুন্নাহ নূরানী হাফিজিয়া মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা শেখ ফরিদকে (৪৫) শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখে ঘাতকরা। মাদরাসার অফিসকক্ষ থেকে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের একমাস পর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
গত ৭ জুলাই নিহত শেখ ফরিদের ময়না তদন্ত রিপোর্ট সখীপুর থানায় আসে। এর আগে গত ৬ জুলাই হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বোয়ালী বাজার এলাকার মৃত শামসুউদ্দিনের ছেলে সবুজ বাংলা দাখিল মাদরাসার এবতেদায়ী প্রধান ফরিদ উদ্দিনকে (৪০) আটক করে পুলিশ। ৭ জুলাই নিহত শেখ ফরিদের ভাগ্নে মেহেদী হাসান বাদী হয়ে উপজেলার বোয়লী গ্রামের ফরিদ উদ্দিনসহ চারজনকে আসামী করে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ ফরিদ উদ্দিনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।
উল্লেখ: গত ৬ জুন শনিবার সকাল ৯টার দিকে মাওলানা শেখ ফরিদ বাড়ি থেকে নিজ কর্মস্থল বোয়ালী হামিউস্ সুন্নাহ নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় যান। দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় এক দোকানদার ওই মাদরাসার সামনে পানি আনতে গেলে অফিসকক্ষে শেখ ফরিদকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে সখীপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মর্গে পাঠায়। তাৎক্ষণিক লাশের সুরতহাল দেখে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করেছিল পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও মামলার বাদী মেহেদী হাসান এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের অভিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আজিজুল ইসলাম বলেন, মাওলানা শেখ ফরিদের মৃত্যুটি প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে হলেও; তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় বোয়ালী গ্রামের ফরিদ উদ্দিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।