কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে করোনা দুর্যোগকালীন সময়ে ব্যক্তিক্রমী এক উদ্যোগের মাধ্যমে অসহায় ও দিনমজুর ১৫০ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে ‘করোনা হেল্প ফান্ড ফেলনা’।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও ফেলনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নানের সার্বিক নির্দেশনায় পূর্বেই সহযোগিতা পাওয়ার উপযোগী পরিবারগুলোর মাঝে স্বাক্ষরিত এবং নাম্বার সম্বলিত কার্ড বিতরণ করা হয়। শুক্রবার স্ব-স্ব কার্ড নিয়ে চৌদ্দগ্রাম বাজারের সদাই মেগাশপ থেকে নিজেদের উপহার সামগ্রী বুঝে নেন অসহায় পরিবারের সদস্যরা। এ যেন বাজার থেকে বাড়িতে সদাই নিয়ে যাওয়া। এতে ছিলনা সহযোগিতা প্রার্থীদের ছবি তোলার কোন ভয়, ছিল না মানসম্মানের ভয়ে সহযোগিতা না নেওয়ার কোন আশঙ্কা। নিম্ম মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত কার্ডধারী সকলেই মনের আনন্দে সংগ্রহ করেছে তাদের উপহার সামগ্রী।
শুক্রবার সকালে সার্বিক কার্যক্রমে সদাই মেগাশপে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক চৌদ্দগ্রাম পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ এমদাদ উল্যাহ, করোনা হেল্পফান্ডের সদস্য ও আলোকিত চৌদ্দগ্রামের বার্তা সম্পাদক বেলাল হোসাইন, হেল্প ফান্ডের সদস্য অডিট কর্মকর্তা সাইফুর রহমান শামিম, নগদহাট ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা ইস্রাফিল মোল্লা, শিক্ষানবিশ আইনজীবি সাইফ উদ্দিন, সদাই মেগাশপের পরিচালক হোসাইন মামুন, সাঙ্গিশ^র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মামুন মোল্লা, প্রবাসী হাফেজ মর্তুজা, সদস্য আতিকুর রহমান, ফরহাদ মোল্লা, মোজাম্মেল হোসেন, ফাহাদ মোল্লা ও আতিক মোল্লা প্রমুখ।
এদিকে অসহায় ও দিনমজুর পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণে আর্থিক সহযোগিতা করা প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং সার্বিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে যারা ভুমিকা রেখেছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও ফেলনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান। করোনা মহামারীর সময়ে অসহায় মানুষের সেবায় এগিয়ে আসায় করোনা হেল্প ফান্ড ফেলনা ও প্রবাসীদের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অসহায় এবং দিনমজুর পরিবারের সদস্যরা।