• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

চরাঞ্চলে আসছে পরিযায়ী পাখি

  • ভোলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০২০

শীত মৌসুমের শুরতেই প্রতি বছরের মতো এবারও সুদূর সাইবেরিয়া থেকে লাখ লাখ পরিযায়ী পাখি আশ্রয় নিয়েছে দ্বীপচরগুলোতে। ভোলার চরাঞ্চলে পরিযায়ী পাখিদের দেখা যাচ্ছে। একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ডানা মেলে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্যে মুগ্ধ মানুষ।

পাখিদের কিচির-মিচির আওয়াজ আর কলকাকলী শোনা যায়, এমন দৃশ্যের দেখা মেলে সকাল-বিকাল। ভোলার চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরী, ঢালচর ও মনপুরাসহ বেশকিছু স্থানে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। একটু দূরে তাকালেই দেখা যায় দলবেঁধে সারি সারি পাখির মেলা। এখানকার অন্তত ২০টি চরে আশ্রয় নিয়েছে পরিযায়ী পাখিরা।

পরিযায়ী পাখিদের আগমনকে কেন্দ্র করে একদিকে বেড়েছে বনাঞ্চলের সৌন্দর্য অন্যদিকে পর্যটকরাও ছুটে আসছেন পাখি দেখতে। তবে করোনার কারণে পর্যটকদের আগমন অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ কম। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শীতে চরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় পরিযায়ী পাখি। দলবেঁধে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। পাখিদের কিচির-মিচির শব্দ শুনতে অনেক ভালো লাগে।

বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা ঢালচর, মনপুরা, কলাতলীরচর, চরকুকরী-মুকরী, চরশাহজালাল, চরশাজাহান, চরপিয়াল, আইলউদ্দিনচর, চরনিজাম, ডেগরারচরসহ মেঘনা-তেঁতুলিয়ার উপকূলবর্তী মাঝেরচর, মদনপুরাসহ বিভিন্ন চরে পাখিদের আনা-গোনা শুরু হয়েছে। পাখিদের কলকাকলীতে মুখর থাকে চরগুলো। তবে অভিযোগ উঠেছে, একশ্রেণির অসাধু শিকারি বিষটোপ, ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে বা ছোট ছোট মাছের

সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পাখি শিকারে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। চরে আশ্রয় নেওয়া পাখিরা অনেকটা অনিরাপদ  হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পরিযায়ী পাখিদের আবাসস্থল, বিচরণভূমি ও খাদ্যের সংকটও রয়েছে। এব্যাপারে ভোলার বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা  তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শীতের শুরুতে ভোলাতে পরিযায়ী পাখিদের আগমন শুরু হয়েছে। এখানকার চরগুলো পরিযায়ী পাখিদের জন্য বিখ্যাত। কেউ যাতে পাখি শিকার করতে না পারে সেজন্য বন বিভাগের আটটি রেঞ্জ থেকে টহল জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও পাখি শিকার বন্ধে স্পেশাল টিম গঠন ও গোয়েন্দা নরজদারি বাড়ানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads