• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
ডিএনসিসির অভিযানে ২৩ লাখ টাকা জরিমানা

লার্ভা পাওয়া স্থানগুলোর সামনে ‘এই বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে’ স্টিকার লাগানো হয়

ছবি -বাংলাদেশের খবর

মহানগর

ডিএনসিসির অভিযানে ২৩ লাখ টাকা জরিমানা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০২০

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০ দিনব্যাপী বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে। ২ থেকে ১২ নভেম্বর এই চিরুনি অভিযান অনুষ্ঠিত হয়। তবে ঢাকা ১৮ আসনে জাতীয় সংসদের উপনির্বাচন থাকায় ১২ নভেম্বর অঞ্চল ১, অঞ্চল ৬ ও অঞ্চল ৮ এ চিরুনি অভিযান স্থগিত ছিল। গতকাল এই তিনটি অঞ্চলে দশম দিনের অভিযান চলে। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এবং অন্যান্য অপরাধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এই ১০ দিনে মোট ২২ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল ৩) সর্বোচ্চ সংখ্যক স্থাপনায় (৩৩৫টি) এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক (১৪৫টি) স্থাপনায় এবং কাওরানবাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক (১৩৯টি) স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। অভিযানে মিরপুর ২ (অঞ্চল ২), মিরপুর ১০ (অঞ্চল ৪), হরিরামপুর (অঞ্চল ৬), দক্ষিণখান (অঞ্চল ৭), উত্তরখান (অঞ্চল ৮), ভাটারা (অঞ্চল ৯) ও সাতারকুল (অঞ্চল ১০) এ যথাক্রমে ৬০, ৪০, ৬৮, ৩০, ১১, ৪৯ ও ৬টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা পাওয়া স্থাপনাগুলোর সামনে ‘এই বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে’ লেখা স্টিকার লাগানো হয়।

উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১০ হাজার ৬৯০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৯ হাজার ১৫০টি বাড়ি, স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ২ লাখ ৯২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় হয়। মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২৭ হাজার ১৫১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩ হাজার ৬৩৩টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজম এর নেতৃত্বে অভিযানে জরিমানা আদায় করা হয় ৪ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১৬ হাজার ১৪৬টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শন করে ৩৩৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১১ হাজার ১৬০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে অভিযানে ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১৬ হাজার ৫১৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৯ হাজার ৬৬৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় ছিল এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাসির উদ্দিন মাহমুদের নেতৃত্বে অভিযানে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২২ হাজার ৩৩৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৩৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১৮ হাজার ২৩৩টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে।

হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১৩ হাজার ৬৭৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১০ হাজার ১২১টি বাড়ি ও স্থাপনায় ছিল এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে অভিযানে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় হয়। দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৭ হাজার ৮০৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬ হাজার ২৮২টি বাড়ি ও স্থাপনায় দেখা যায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮)-এর অধীনে মোট ৭ হাজার ২৫৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৪ হাজার ৭৪৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় ছিল এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবেদ আলীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫ হাজার ১১১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৩ হাজার ৩২৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সগীর হোসেনের নেতৃত্বে অভিযানে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৭ হাজার ৩৭৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৬টিতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৫ হাজার ৭৫৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের নেতৃত্বে অভিযান চলে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads