• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
নেত্রকোনায় ৯৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি

নেত্রকোনায় ৯৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়

  • সৈয়দ নুরুল আমিন রুপক, নেত্রকোনা
  • প্রকাশিত ০৬ জানুয়ারি ২০২১

সদ্যসমাপ্ত বছরে সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে জেলার ১০টি উপজেলায় মোট এক লাখ ৩৯ হাজার ৫৩২ জনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে নেত্রকোনা সমাজসেবা কার্যালয়। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ৯৬ কোটি ৩২ লাখ ৩ হাজার ২শ’ টাকা।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই কর্মসূচির আওতায় এবছর বয়স্ক ভাতা হিসেবে ৭৬ হাজার ১১৫ জনকে প্রতি মাসে ৫শ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এতে বছরে ব্যয় হয়েছে ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ৩৪ হাজার ৭৭৭ জন বিধবা ও স্বামী নিগৃহের শিকার নারী প্রতি মাসে ৫শ টাকা করে পেয়েছেন। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ২০ কোটি ৮৬ লাখ ৬২ হাজার টাকা। এছাড়া জেলায় মোট ২৫ হাজার ১১৯ জন অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী প্রতিমাসে ৭৫০ টাকা করে ভাতা পেয়েছেন। এতে বছরে ব্যয় হয়েছে ২২ কোটি ৬০ লাখ ৭১ হাজার টাকা। হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বয়স্ক ও বিশেষ ভাতা পেয়েছেন ৩৪জন। তাদের প্রতি মাসে ৬শ টাকা করে দিতে গিয়ে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮শ টাকা। বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বয়স্ক ও বিশেষ ভাতা পেয়েছেন ২৪৪ জন। তাদের প্রত্যেককে প্রতিমাসে ৫শ টাকা করে দেওয়ায় বছরে ব্যয় হয়েছে ১৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। এছাড়া প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে তাদের সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আনতে সদ্য সমাপ্ত বছরে ১২৭৬ জনকে শিক্ষা উপবৃত্তি দিতে জেলা সমাজসেবা বিভাগ ১ কোটি ৪৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয় করেছে। এছাড়া ১০জনকে দেওয়া হয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভাতা। তাদের প্রতি মাসে তিন হাজার ৬শ টাকা করে দিতে গিয়ে ব্যয় হয়েছে চার লাখ ৩২ হাজার টাকা। সরকারি শিশু পরিবারে ১০০ জন নিবাসীর জন্য প্রতি মাসে তিন হাজার ৬শ টাকা করে বছরে ৪৩ লাখ ২০ হাজার টাকা সরকারের ব্যয় হয়। জেলায় ৪৬টি এতিমখানায় ১৩১০ জনের পিছনে ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হূদরোগ ও থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ৫৪৭ জনকে প্রত্যেককে এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে মোট দুই কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়।

নেত্রকোনা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আলাল উদ্দীন বলেন, চলতি বছর জেলায় ভাতাভোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। চলতি অর্থবছর থেকে ভাতাভোগীদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাদের ভাতার টাকা পৌছে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads