পাবনার চাটমোহরে প্রতিদিন হাঁস-মুরগির ১০ লাখ ডিম উৎপাদন হচ্ছে। আড়তদাররা এ ডিমগুলো সংগ্রহ করে বিক্রি করছে ঢাকাসহ দেশের ১৬ জেলায়। দেশের সার্বিক ডিমের চাহিদার অনেকটাই পূরণ করছে চাটমোহরের পোল্ট্রি খামারিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দুই দশকে প্রায় আড়াই হাজার হাঁস-মুরগির খামার গড়ে উঠেছে চাটমোহর পৌর সদরসহ চাটমোহরের বিভিন্ন গ্রামে। এসব খামারে উৎপাদিত ডিম ঢাকা, চট্টগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, মাগুরা, টাঙ্গাইল, সাতক্ষীরাসহ দেশের ১৬টি জেলায় পাঠানো হচ্ছে। চাটমোহর পৌর সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ডিম ব্যবসায়ী আফাজ উদ্দিন জানান, চাটমোহর ডিম ব্যবসায়ী সমিতির অন্তর্ভুক্ত ১৯ জন আড়তদারসহ প্রায় ৬০ জন আড়তদার প্রতিদিন ১০ লাখ ডিম সংগ্রহ করে বিভিন্ন মোকামে পাঠাচ্ছে। তিনি নিজেই প্রতিদিন প্রায় এক লাখ ডিম কেনাবেচা করেন। ঢাকা, টাঙ্গাইলের ডিম ব্যবসায়ীরা ডিমের মূল্য নির্ধারণ করে।
পৌর সদরের নারিকেলপাড়া এলাকার খামারি সেকেন্দার আলী জানান, চাটমোহরে দুই হাজারের বেশি মুরগির খামার রয়েছে। এ ছাড়া অনেক হাঁসের খামারও রয়েছে। চিরইল গ্রামের পোল্ট্রি খামারি হাসিনুর রহমান জানান, এক হাজার একশ মুরগি পালন করেন তিনি। প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার ৫০টি করে ডিম পাচ্ছেন। বর্তমান পাইকারি বাজারে প্রতিটি ডিম ৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যবসার প্রতিকূলতা প্রসঙ্গে তিনি জানান, বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির খাদ্য প্রতি ৫০ কেজির বস্তা কোয়ালিটি ভেদে ১ হাজার ৮শ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা অনেক বেশি। বার্ড ফ্লু ভ্যাকসিন চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। ফলে দোকানদাররা দুই হাজার ২শ টাকার ভ্যাকসিন ৩ হাজার ৮শ থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের হোগলবাড়িয়া গ্রামের হাঁসের খামারি বাচ্চু মন্ডল জানান, ৬শটি হাঁস পালন করছেন তিনি। এর মধ্যে ৪২০টি হাঁস ডিম দিচ্ছে। প্রতিটি ডিম ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১১ মাস ধরে হাঁস পালন করছেন তিনি। এ পর্যন্ত ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ইতোমধ্যে ৫ লাখ টাকার ডিম বিক্রি করেছেন। আশা করছেন আরও ৫ লাখ টাকার ডিম বিক্রি করতে পারবেন। এ ছাড়া ডিম পাড়া শেষে হাঁসগুলোও বিক্রি করতে পারবেন।
