• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

দেড় মাসেও উদ্ধার হয়নি মধুপুরে নিখোঁজ হওয়া স্কুলছাত্রী

  • প্রকাশিত ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

টাঙ্গাইলের মধুপুরে নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে দেড় মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এতে করে ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার চরম হতাশায় ভ‍ুগছেন। নিখোঁজ স্কুলছাত্রীর জন্য আহাজারি করছেন তার আত্মীয়-স্বজনরা। মধুপুর পৌরসভার মাষ্টারপাড়া এলাকার মীর আব্দুল হালিমের মেয়ে তানহানুন মীম (১৪)। সে এবার মধুপুর রানীভবানী মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। পুলিশ বলছে উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ ঘটনায় ওই স্কুলছাত্রীর মা মনিরা বেগম মধুপুর থানায় বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে গত ২৭ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৩। আসামিরা হলো, মধুপুরের বৃত্তিবাড়ী গ্রামের জলিলের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩২), নাহিদুল ইসলাম (২১) ও শালিকা গ্রামের আ. করিমের ছেলে শাহীন (৩০)।

ওই স্কুলছাত্রীর মা মনিরা বেগম জানান, তার মেয়ে তানহানুন মীম মধুপুর রানী ভাবনী মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। দীর্ঘদিন ধরে পাশের বৃত্তিবাড়ী এলাকার আ. জলিলের ছেলে নজরুল ইসলাম মীমকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় রাস্তায় আসা-যাওয়ার পথে মীমকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করত এবং উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি দিত।

গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ ইং সন্ধ্যায় মীম তার নানার বাড়ী মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ব্রাক্ষ্মনবাড়ী থেকে বাড়ী ফেরার পথে মজিদচালা গ্রামের রাস্তায় আল-আমিনের দোকানের সামনে পৌঁছায়। এসময় নজরুলসহ তার ৩/৪ জন সহযোগী মিলে মীমকে গতিরোধ করে অপহরণ করে সিএনজি যোগে তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনসহ অনেকে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে পরদিন ১৫ ডিসেম্বর মধুপুর থানায় মীমের দাদা খোরশেদ আলী সাধারণ ডায়রী করেন। ডায়রী নং ৫৮২।

এ ব্যাপারে ওই স্কুলছাত্রীর মা-বা কান্নাজড়িত কন্ঠে এই প্রতিবেদককে জানান, অপহরণের দেড় মাস পার হয়ে গেলেও পুলিশ আমাদের মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি এবং কী একজন আসামিকেও এখন পর্যন্ত মধুপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। মামলা করার কারণে আমরা চমর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। নজরুলের পরিবার আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমাদের মেয়েকে আমরা ফিরিয়ে চাই। এজন্য প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা কামনা করি।

এ ব্যাপারে মধুপুর থানার ওসি তারিক কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ মামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই সু-শান্তকে। আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি দ্রুতই সবাইকে গ্রেপ্তার করতে পারবো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads