• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
হরিরামপুরে অবৈধ চাঁদা আদায়ে অতিষ্ট সিএনজি চালকরা

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

হরিরামপুরে অবৈধ চাঁদা আদায়ে অতিষ্ট সিএনজি চালকরা

  • মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৫ মার্চ ২০২১

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ঝিটকা সিএনজি স্ট্যান্ডে অবৈধ চাঁদা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারী মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মোঃ আলমগীর হোসেন, মোঃ রফিক শিকদার ও মোঃ মিলন হোসেনসহ একাধিক সিএনজি চালক।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপীনাথপুর চরপাড়া গ্রামের সুজন মিয়া, সোনাকান্দ গ্রামের মিলন ও ঝিটকা দায়ড়া পাড়া এলাকার মনা ঝিটকা সিএনজি স্টেশন থেকে হরিরামপুর থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের নামে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে প্রতিদিন সিএনজি প্রতি ৪০ টাকা করে জিপি ও থানা পুলিশের নামে মাসিক হারে ৪০০ টাকা আদায় করছে।

জানা গেছে, মানিকগঞ্জ টু ঝিটকা সড়কে প্রায় ১১০টি সিএনজি চলাচল করে। এরমধ্যে সিএনজি মালিক সমিতির চাঁদা আদায়ের মূল ব্যক্তি সুজনের ৩টি সিএনজি রয়েছে। অথচ তিনি একটি গাড়িরও চাঁদা দেয়না। তবে অন্যান্য সিএনজি থেকে হরিরামপুর উপজেলার এক জনপ্রতিনিধির প্রভাব খাটিয়ে সুজন, মিলন ও মনা চাঁদাবাজির একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলে অসহায় দিনমুজর সিএনজি চালকদের কাছ থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করছে। আগে এই সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে প্রতিটি সিএনজি থেকে দৈনিক ৩০ টাকা করে জিপি এবং বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিদের নামে ৩০০ টাকা করে মাসিক চাঁদা আদায় করা হতো। বর্তমানে উপজেলার কিছু আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় জিপি ও মাসিক চাঁদার পরিমান বৃদ্ধি করে প্রতিটি সিএনজি থেকে দৈনিক ৪০ টাকা করে জিপি এবং মাসিক ৪০০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এসব চাঁদা আদায়ের অর্ধেক টাকা চলে যায় হরিরামপুর থানা পুলিশ, গিলন্ড পুলিশ ফাঁড়ি ও মানিকগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের তহবিলে।

অভিযোগকারী সিএনজি চালকরা জানান, সুজন দ্বায়িত্বে এসেই সিন্ডিকেট গড়ে তুলে আমাদের কাছ থেকে জোরপূর্বক জিপির নামে দৈনিক ৪০ টাকা ও মাসিক ৪০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। চাঁদা দিতে না চাইলে আমাদের সিএনজি চালাতে বাধা সৃষ্টি করে এবং স্ট্যান্ডে দাড়াতে দেয়না। এদের অত্যাচারে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।

এ বিষয়ে ঝিটকা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি সোবাহান বলেন, আগে এই স্ট্যান্ড থেকে ৩০ টাকা করে জিপি এবং ৩০০ টাকা করে মাসিক চাঁদা আদায় করা হতো। আদায়কৃত দৈনিক ৩০ টাকা জিপির মধ্যে ১০ টাকা জায়গা ভাড়া, ১০ টাকা সুপারভাইজার খরচ ও ১০ টাকা মালিক সমিতির উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হতো। আর আদায়কৃত মাসিক ৩০০ টাকা বিভিন্ন মহলে বন্টন করা হতো। এখন আমাকে দ্বায়িত্ব থেকে সড়িয়ে দিয়ে সুজনকে দিয়ে মাসিক ৪০০ টাকা ও জিপি ৪০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে চাাঁদা আদায়কারী সুজন মিয়া বলেন, আমি ৪০ টাকা করে জিপি আদায় করি। আদায়কৃত জিপি থেকে মাসে আমার বেতন ১৫ হাজার টাকা ও সেক্রেটারির বেতন ১০ হাজার টাকা এবং স্ট্যান্ডের জায়গা ভাড়া দেওয়া হয় ১৫ হাজার টাকা। তবে মাসিক ৪০০ টাকা চাঁদা আদায়ের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

এ প্রসঙ্গে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম (পিপিএম) বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। কেউ অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads