• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
পাকা আমের কাঁচা আঁটি

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

পাকা আমের কাঁচা আঁটি

  • প্রকাশিত ০৯ মে ২০২১

জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

সৈয়দপুরে অপরিপক্ব আমে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। গত ১০ দিন থেকে মেডিসিন দিয়ে পাকানো অপরিপক্ব আম আড়তদাররা বিক্রি করলেও উপজেলা প্রশাসন তা দেখেও দেখছেন না। ফলে আঠাযুক্ত আম খেয়ে পেটের পীড়ায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিন দেখা গেছে, মেডিসিন মিশ্রিত হলুদ সবুজ রঙের আম থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন আড়তদাররা। নতুন আম বলে দামও হাঁকাচ্ছেন তারা। খুচরা ব্যবসায়ীরা ওসব কিনে তা বিক্রিও করছেন দ্বিগুণ হারে। স্বাভাবিকভাবে ওসব আম পাকা মনে হলেও আমের আঁটি রয়েছে কাঁচা।

রেজা মাহমুদ নামে এক ক্রেতা জানান, সৈয়দপুর শহরের ১নং রেল ঘুমটি সংলগ্ন গিয়াস ফলভান্ডার থেকে গত তিন দিন আগে পাঁচ কেজি আম কিনেছেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে গিয়ে আমগুলো কাটতেই টক ও আঠার গন্ধ বেরিয়ে পড়ে এবং আঁটিও কাঁচা। সামান্য এক ফালি আম খেয়েই শুরু হয়েছে পেটের সমস্যা। তবে আড়তদার গিয়াস বলছেন, আমে কোনো সমস্যা নেই। পরিপক্ব বা অপরিপক্ব তা তার দেখার বিষয় নয়। রাজশাহী ও নাটরের মোকাম থেকে অনুমতিপত্র নিয়েই তিনি আম বিক্রি করছেন। উপজেলা প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কিছুই করার শক্তি বা ক্ষমতা রাখেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি। গত মৌসুমে আঠাযুক্ত আম বিক্রির দায়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে তিনি ভুল করেছেন বলে জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়জন আড়তদার জানান, আম পাকার এখনও অনেকদিন বাকি কিন্তু রমজান মাসে বেশি লাভের আশায় আড়তদার গিয়াস ওসব অপরিপক্ক আম বিক্রি করে চলেছেন। তার কারণে বাকি আড়তদারদেরও বদনাম হচ্ছে। প্রশাসনকে এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম জানান, দেশের কোথাও এখনো আম পাকেনি। আগামী ১৫ দিন পর থেকে আম পাকা শুরু হতে পারে। আড়তদাররা যেসব পাকা আম বিক্রি করছেন সেগুলো পরিপক্ব নয়। এস আম খেলেই পেটের নানান সমস্যা হতে পারে। এ বিষয়ে উপজেলা কমিশনার (ভূমি) রমিজ আলম বলেন, ২-১ দিনের মধ্যেই অভিযানে নামা হবে। আঠাযুক্ত অপরিপক্ব আম পাওয়া গেলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads