• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

সারা দেশ

অর্থাভাবে দুটি চোখই নষ্ট হতে যাচ্ছে ফুটফুটে শিশু রিফাতের

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ মে ২০২১

জন্মের ৭/৮ মাস পর থেকেই দুচোখে সমস্যা। অর্থাভাবের কারণে চিকিৎসা করাতে না পেরে এক চোখ ইতোমধ্যে নষ্ট হয়েছে। বাম চোখটি তুলে ফেলে সেখানে পাথরের চোখ বসানোর পরামর্শ দিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। বাম চোখটি রিপ্লেস করতে না পারলে ডান পাশের চোখটিও নষ্ট হয়ে যাবে মো. রিফাতের। এমনটাই বর্ণনা দিলেন রিফাতের মা সিরাজগঞ্জ সদর থানার খোকশাবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের হাফিজা খাতুন।

অভাবের তাড়নায় স্বামী সংসার ছেড়ে বাবার সংসারে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছেন ৭ বছরের শিশু সন্তান রিফাতকে নিয়ে। রিফাতের বাবা মো. মোতালেব শেখের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদর থানার ফুলকোচা গ্রামে। দিনমজুর মোতালেব ইনকাম করে সংসার চালাতে হিমশিম খান। এ কারণে হাফিজা স্বামী সংসার থেকে বাবা হাবিবরের সংসারে এসে দিন কাটাচ্ছেন। হাবিবর পেশায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। খুবই অল্প পুঁজি দিয়ে কাঁচামালের ব্যবসা করেন। দিন শেষে যা আয় হয় তা দিয়ে ৫ জনের সংসার চালান।

জানতে চাইলে রিফাতের মা হাফিজা বলেন, ছেলের জন্মের পর থেকেই দু চোখে সমস্যা। চোখের সাদা পর্দার উপর আবরণ পরে নষ্ট হয়ে গেছে এক চোখ। অনেক চিকিৎসা করেও সারানো যায়নি। ধার-দেনা করে ছেলের চিকিৎসার ব্যয় মেটাতে পারেননি। মানুষের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। ইতোমধ্যে ৫০ হাজার টাকা ধার করে রিফাতের চিকিৎসার জন্য খরচ করেছেন। ডাক্তাররা পরামর্শ দিয়েছেন বাম পাশের চোখটি অপারেশন করে পাথরের চোখ বসাতে হবে। তা না করলে ডান পাশের চোখটিও নষ্ট হয়ে যাবে। দুটি চোখই চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যাবে রিফাতের।

সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার বিভিন্ন চক্ষু সার্জনকে রিফাতকে দেখানোর পর ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হসপিটালে চিকিৎসা করানো হচ্ছে এই ফুটফুটে শিশুকে। ছেলের চিকিৎসার জন্য হাফিজা সকলের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। হাফিজার মুঠোফোন নম্বর: 01793327515।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads