• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে আম

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে আম

  • প্রকাশিত ২২ জুন ২০২১

আজিজ খান, গোলাপগঞ্জ (সিলেট) 

সারি সারি গাছ। বাগানের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে গাছের ডালে ডালে ঝুলে আছে অসংখ্য আম। হিমসাগর, লেংড়া, হাঁড়িভাঙা, আম্রপালি, আশনি, ম্যাঙ্গাথাই ও ফজলীসহ দেশীয় ছোট-বড় নানা জাতের সুস্বাদু আমের ভারে নুয়ে পড়ছে গাছ। ছোট-বড় মিলে পুরো বাগানেই আমের ছড়াছড়ি। বাগানে গেলে মন ভরে যাবে পাকা আমের ঘ্রাণে। এ রকমই চিত্র উপজেলার শীলঘাট গ্রামের বটতলার সজিব আলীর আমবাগানে। তার ছোট একটি বাগান থেকে এখন বিশাল আমবাগানে পরিণত হয়েছে। শুরুতে ১৫০টি গাছ নিয়ে প্রায় তিন বিঘা জমিতে রয়েছে তার আমবাগান। তার বাগানে আবাদ হচ্ছে- আম্রপালি, হিমসাগর, হাড়িভাঙ্গা, আশনি, ল্যাংড়া, ম্যাঙ্গাথাই ও ফজলীসহ এ কয়েক জাতের প্রায় আড়াই লাখ টাকার সুস্বাদু আম। এবার বাড়ছে সজিব আলীর বাগানে বারোমাসি আমের আরো ৭০টি আম গাছের সংখ্যা। সেই সঙ্গে বাড়ছে জমির পরিমাণ।

উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রাম শীলঘাটের বটতলা। উপজেলা থেকে প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার দূরে এ গ্রামের অবস্থান। লন্ডন প্রবাসী সজিব আলী সাহেব ২০১১ সালে দেশে আসার পর সতেজ আম খেতে শখের বশে গড়ে তোলেন এ আম বাগান। তার ছেলে সিদ্দিক ৫/৬ জন শ্রমিক নিয়ে নিয়মিত পরিচর্যাসহ তার বাগানের তদারকি করেন।

সজিব আলী সাহেবের ছেলে সিদ্দিক বলেন, বিষ এবং ফরমালিনমুক্ত আম বাজারে পাওয়া কঠিন। সে চিন্তা থেকে বাগানটি করা হয়েছে। মামা আব্দুল করিমের সহযোগিতায় আমবাগানের পরিধি বাড়াতে সাহস পেয়েছি। প্রথম অবস্থায় আমার বাবা শখ করে তিন বিঘা জমিতে আমবাগান করেন। পরে অল্প খরচ ও সামান্য পরিশ্রমে বেশি লাভ দেখে আরো তিন বিঘা জমি নিয়ে নিয়ে বারোমাসি আম বাগান করার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন আমরা বাণিজ্যিকভাবে আম চাষ করছি। আগামীতে আম গাছের সংখ্যা ও জমির পরিমাণ বাড়ানোর ইচ্ছে রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, শীলঘাট বটতলার সজিব আলীর বাগানে এবার প্রচুর আম ধরেছে। তাকে আমরা নানাভাবে পরামর্শ দিয়েছি। বাগানটি এ অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় আমবাগান এখন। ব্যক্তি পর্যায়ে এ রকম আরো বাগান হলে স্থানীয় বাজারগুলোতে আমের চাহিদা মেটানো সম্ভব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads