• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
কুষ্টিয়ায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, একদিনে ৫ জনের মৃত্যু

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

কুষ্টিয়ায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, একদিনে ৫ জনের মৃত্যু

  • কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জুন ২০২১

কুষ্টিয়া জেলায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা হু হু করে বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৪ নমুনা পরীক্ষা করে ১২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৬৩ জন এবং মারা গেছেন ১৬২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ১১৬ জন। বুধবার কুষ্টিয়া জেলায় ৩ দিনের মত চলছে লকডাউন।

মঙ্গলবার রাতে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের অফিস এ তথ্য জানিয়েছে। আরও জানিয়েছে, নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১২২ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৬৭ জন, দৌলতপুরের ১১ জন, কুমারখালীর ৯ জন, ভেড়ামারার ৯ জন, মিরপুরের ১৫ জন ও খোকসার ১০ জন রয়েছেন। মৃত ৫ জনের মধ্যে দুজন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার।  একজন করে দৌলতপুর, কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার বাসিন্দা। এ পর্যন্ত জেলায় ৫৭ হাজার ৭৯২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৫৬ হাজার ৭৮৭ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায়।

বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৩৮৫ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৩৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ২৫০ জন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কুষ্টিয়া জেলায় ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। শুধু ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি দোকান, কাঁচাবাজার ছাড়া সবপ্রকার দোকান, শপিংমল বন্ধ থাকবে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে বর্তমান সময়ে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। সম্প্রতি কুষ্টিয়া পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু এখানে কঠোর লকডাউন চলছে। এরপরও কেন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তা নিয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। করোনার সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা জানান, করোনার শুরু থেকেই কুষ্টিয়া জেলায় শনাক্তের হার কখনও ২০ শতাংশের ওপরে যায়নি। কিন্তু এখন শনাক্তের হার ৪০ শতাংশের ওপরে উঠে গেছে।

এদিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভিড় লেগেই আছে। বেডের তুলনায় সেখানে প্রায় দ্বিগুণ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বেড না থাকায় রোগীদের বারান্দায় রাখতে হচ্ছে। রোগীর ভিড় বেড়ে যাওয়ায় ওয়ার্ডের বারান্দা, স্বাস্থ্যকর্মীদের বসার জায়গাটুকুও রোগীর শয্যায় পরিণত হয়েছে। এমন অবস্থায় জেনারেল হাসপাতালের ১০নং সার্জিক্যাল ওয়ার্ড ও  মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক হাসপাতালের একটি অংশকে করোনা ওয়ার্ড হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads