• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
আখাউড়ায় দ্রুত এগিয়ে চলছে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

আখাউড়ায় দ্রুত এগিয়ে চলছে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ জুন ২০২১

ইসলামি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রসারে  সারা দেশের ন্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার  আখাউড়ায় নির্মিত হচ্ছে মডেল মসজিদ। ইতোমধ্যে  মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে । উপজেলা পরিষদ চত্বরের পূর্ব দিকে টিঅ্যান্ডটি  অফিস সংলগ্ন স্থানে  দৃষ্টিনন্দন এই মডেল মসজিদ কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে আগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পের আওতায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটির নির্মাণ হচ্ছে। নির্মাণ কাজ করছে গণপূর্ত অধিদফতর আর এটি বাস্তবায়ন  করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।

জানা গেছে, বর্তমান সরকার ইসলামি শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রসারে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করবে । এরই ধারাবাহিকতায় আখাউড়ায়  একটি মডেল  মসজিদের নির্মাণ করা হচ্ছে। এই মসজিদের নির্মাণ ব্যায় ধরা হয়েছে  প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা।

নির্মাণাধীন মডেল মসজিদটি তিন তলা বিশিষ্ট হবে। দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতে একই আদলে এ ধরণের মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। এর জন্য জায়গা লাগবে প্রায় ৪০ শতক।  এরমধ্যে নিচ তলা ১০,৬০০ বর্গফুট, দ্বিতীয় তলা ১০,৬৭০ বর্গফুট এবং তৃতীয় তলা ৭,৪১৫ বর্গফুট রয়েছে। মডেল মসজিদ নির্মাণকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মোস্তফা কামাল অ্যান্ড মেসার্স নিমার্ণ  বিল্ডার্স (জেভি) এই কাজটি করছেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন আখাউড়া উপজেলা কার্যালয়ের দায়িত্বশীল মাওলানা আব্দুল মতিন  বলেন, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি গবেষণা ও দ্বীনি-দাওয়া কার্যক্রম,পবিত্র কুরআন হেফজ, শিশুশিক্ষা, অতিথিশালা, লাশের গোসলের ব্যবস্থা, হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন, প্রশিক্ষণ, ইমামদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি ব্যবস্থা রয়েছে। ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, মসজিদের খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিম, খাদেম সকলেই সরকারি বেতনভুক্ত হবেন।

 

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো ইসলাম শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ইসলামি চিন্তাবিদরা। তারা বলছেন, সরকারের এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হলে মডেল মসজিদকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্পের বিকাশের পাশাপাশি ধর্মীয় প্রচার-প্রচারণা আরও বাড়বে।

মেসার্স মোস্তফা কামাল এন্ড মেসার্স নিমার্ণ  বিল্ডার্স (জেভি) এর  স্বত্বাধীকারী মো.  আমজাত হোসেন বলেন, মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে দু’তলার ছাদ ঢালাই কাজ শেষ হয়েছে।  দৈনিক এখানে গড়ে  ২০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মডেল মসজিদের কাজ শেষ হবে। তিনি আরও বলেন, আল্লাহর ঘর নির্মাণে আমার এবং আমার সহকর্মীদের আন্তরিকতার কোনো অভাব থাকবে না। সততা ও নিষ্ঠার সহিত এ মডেল মসজিদের কাজ করছি।

জেলা  গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আহমদ আল মামুন  জানান, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এ মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ চলছে।  এ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ওজু খানা ও নামায আদায় করার সুবিধা, লাইব্রেরী ও রিচার্স সেন্টার, সভা মিলনায়তন, অতিথিশালা, শিশু শিক্ষা, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, হজ্বযাত্রীদের নিবন্ধন, ইমামদের প্রশিক্ষণ ও ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আশা করছি দ্বিতীয় পর্যায়ে আমরা এই মসজিদটি উদ্বোধন করতে পারব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads