• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুত সোয়া লাখ পশু

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

চুয়াডাঙ্গায় প্রস্তুত সোয়া লাখ পশু

  • প্রকাশিত ২৬ জুন ২০২১

শামসুজ্জোহা পলাশ, চুয়াডাঙ্গা

পবিত্র ঈদুল আজহা আসন্ন। বৈশ্বিক মহামারি গতবারের কোরবানির ঈদকেও অনেকটা ম্লান করে দেয়। এবারও অভিন্ন অবস্থা। এরপরও ঘরে ঘরে গরু ছাগল পালনকারীরা ভালো দামে গৃহপালিত পশু বিক্রির আশায় দিন গুনছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের হিসাবে, এবার কোরবানির জন্য চুয়াডাঙ্গায় ২৮ হাজার ১৭৬টি গরু, ৮২ হাজার ২৩৬টি ছাগল ও ৭৮০টি ভেড়া পালন করা হয়েছে। গতবছর কোরবানির ঈদের আগে গরু ছাগলের দাম খামারিরা প্রত্যাশামতো পাননি। অনেকেরই গুনতে হয়েছে লোকসান। পশুখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু ছাগল পালন করতে গিয়ে খামারিদের খরচ করতে হয় অনেক। সে অনুপাতে পালিত পশুর দাম না পেলে ছোট বড় খামারিদের মধ্যে পশুপালনে আগ্রাহ হারায়। করোনা ভাইরাস সমস্যার কারণে গতবার বাজার মন্দা হলেও খামারিরা এবার ভালো দাম পাবে আশায় অনেকেই গরু ছাগল ভেড়া পালন করেছেন। এখন অপেক্ষা বিক্রির।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. গোলাম মোস্তফা বলেছেন, জেলায় যে পরিমাণ মাংসের চাহিদা, তার চেয়ে অনেক বেশিই উৎপাদন হয়। উদ্বৃত্ত গরু ছাগল ভেড়া মুরগি দেশের বড় বড় শহরের চাহিদা পূরণে সহায়ক হয়। জেলায় গরু ছাগল ভেড়ার পরিমাণ এক লাখ, ১২ হাজার ৯৫৫টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২১ হাজার ৬১৩, আলমডাঙ্গায় ৩৮ হাজার ৭৮১টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ২৬ হাজার ৪৮৫টি। জীবননগর উপজেলায় ২৬ হাজার ৭৬টি। কোরবানির হাটে বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে জেলায় পালন করা গরুর সংখ্যা ২৮ হাজার ১৭৬, ছাগল ৮২ হাজার ২৩৬ ও ভেড়া বা গারল ৭৮০টি।

বেশ ক’জন খামারির সাথে কথা বলে জানা গেছে, গতবারের মতো এবারও লোকসান হলে অনেক খামারি বিশেষ করে ঘরে ঘরে পালন করা গরু ছাগলের সংখ্যা আগামীতে কমে যাবে। অবশ্য কিছু খামারির গরু ইতোমধ্যেই বিক্রি করা হয়েছে। যারা খামার থেকে গরু বিক্রি করছেন তাদের অনেকেই বলেছেন, গতবারের তুলনায় এবার গরু ছাগলের দাম ভালো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads