• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯
নেত্রকোণা জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম 

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

নেত্রকোণা জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম 

  • নেত্রকোনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৭ জুন ২০২১

নেত্রকোণা জেলার শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তার তালিকায় সার্বিক কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে মনোনীত হয়েছেন খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচএম আরিফুল ইসলাম। আজ রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার হাতে সম্মাননা ও স্বীকৃতির স্মারক তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান।

এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মনির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রট মোহাম্মদ সুয়েল মামুদ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

এএইচএম আরিফুল ইসলাম ৫ নভেম্বর -২০১৮ সাল থেকে অদ্যাবধী খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে কর্মরত। এর আগে ২০১৭ সালে হবিগঞ্জ জেলার মৌলভীবাজার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে সফলতা এবং দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

পেশায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হলেও প্রশাসনিক গণ্ডির বাহিরেও ওই কর্মকর্তার জনমুখী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সরকারের উচ্চমহলে সাড়া ফেলেছেন।তিনি উপজেলার ৮৭৭টি ভূমিহীন পরিবারকে খাসজমি বন্দোবস্ত ও কবিলত হস্তান্তর করেন।

প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের অধীনে ৮৪৩ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ সেমি পাকা ঘর করে দেন। ১৪৫ কিলোমিটার ফসল রক্ষা বেরী বাঁধের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করেন। কৃষকের ধান বিক্রিতে দাঁড়িপাল্লা তুলে দিয়ে ডিজিটাল মিটার চালু করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।

এ ছাড়া করোনার সময় এএইচএম আরিফুল ইসলামের উদ্ভাবনী উদ্যোগে বদলে গিয়েছিল হাওরপারের চিত্র। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা সুরক্ষার পাশাপাশি সাধারণ রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা অক্ষুণ্ন রাখতে উপজেলায় চালু করেন ডক্টরস সেফটি চেম্বার ও সেফটি কার্ট। যে উদ্যোগটি পরবর্তীতে দেশের অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু করেছিল।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এএইচএম আরিফুল ইসলাম বলেন, কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মান অর্জনে আমি খুব খুশি বিশেষ করে আমাদের জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান স্যার সবসময় যেকোন কাজে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা দিয়ে আমাকে আরো সাহস দিয়েছেন। আগামীতে এই সম্মান যেনো ধরে রেখে আরো কাজ করতে পারি।

জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন,যেকোন পুরস্কার একজন ব্যক্তি বা কর্মকর্তাকে নিজ কাজে আরো গতিশীল এবং অন্যদেরকেও আগ্রহী করে তুলে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads