• শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪২৯
আখাউড়ায়  বেড়েছে জ্বর-সর্দির প্রকোপ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

আখাউড়ায় বেড়েছে জ্বর-সর্দির প্রকোপ

  • আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৯ জুন ২০২১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গত এক সপ্তাহে আশঙ্কাজনক হারে জ্বর সর্দি কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে।  পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সব বয়সি লোকজন ওইসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্ত হওয়া বেশীভাগ রোগী  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে  এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মঙ্গলবার দুপুর পযর্ন্ত উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রায় অর্ধশতাধিক ওইসব রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে গড়ে উঠা ফার্মেসির দোকানগুলোতে প্যারাসিটামল, নাপা এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষধের চাহিদা ও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি অনেকে গোপন রেখে পারিবারি ভাবে শতর্ক থেকে নিয়মিত ওষধ সেবন করে আসছেন।  হোম কোয়ারেন্টাইন ও বাড়ি লকডাউন পরিস্থিতি এড়াতে এবং করোনা আক্রান্ত কি না তা পরীক্ষা করতে চান না তারা। এতে করোনা সংক্রমণ বহুগুনে বেড়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়,  উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩২৬ জন লোক করোনা আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে গত বছর ছিল ২১৩ জন, চলতি বছরের রয়েছে ১১৩ জন। সুস্থ হয়েছে ২৭৬ জন। গতকাল করোনার নমুনা সংগ্রহ করেছে ২০জন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে , গত এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করে পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নানা বয়সী লোকদের জ্বর, সর্দি ও কাশি দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের আক্রান্ত হওয়া ওইসব রোগীরা  চিকিৎসা সেবা নিতে আসছেন। আবার অনেকে গোপনীয় ভাবে বাড়িতে থেকে ফার্মেসী থেকে ওষধ এনে খাচ্ছেন।

উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের মোগড়া গ্রামের গৃহিণী আয়েশা আক্তার বলেন, গত ২ দিন ধরে তিনি জ্বরে ভোগছেন। স্থানীয় ফামেসী থেকে ওষধ খাওয়ার পর না কমায় তিনি স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখাতে আসেন।

পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকার আবুল কাশেম  বলেন, তার মেয়ে রিতা বেগম (১৭) কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা ও জ্বরে আক্রান্ত। পল্লী চিকিৎসক দেখিয়ে ওষধ খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু ভালো না হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ডাক্তার দেখিয়ে ব্যবস্থাপত্র নিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, তার বাড়ির আশপাশে অনেকেরই সর্দি জ্বর রয়েছে। এ নিয়ে তিনি খুবই চিন্তিত রয়েছেন। আজমপুরের হেলাল মিয়া বলেন তার ছেলে বাবুল (৩০) গত ৪ দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন। ফার্মেসি থেকে নেওয়া ওষুধ খেলে জ্বর ছাড়লে ও আবার জ্বর আসছে। তাই হাসপাতালে আসা। চিকিৎসক তাকে দেখে ২টি পরীক্ষা করতে দেওয়া হয় বলে জানায়। দরদী ফার্মেসীর বিক্রেতা আজিজুর রহমান বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় বেশ কিছু দিন ধরে প্যারাসিটামল, নাপা ও এন্টিবায়োটিক জাতীয় ওষধ বিক্রি বেড়েছে। লোকজন এসে মুখে বলে ওইসব ওষুধ কিনছেন। 

উপজেলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শ্যামল চন্দ্র ভৌমীক বলেন, সাধারণত আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সর্দি কাশি জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে।  যেহেতু সময়টা ভালো যাচ্ছে না তাই যাদের জ্বরসহ সর্র্দি কাশি আক্রান্ত হয়েছে তারা যত্রতত্র ঘোরাঘোরি না করা ভালো।  তাছাড়া ঘরে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার পাশাপাশি তরল জাতীয় খাবার ও বিভিন্ন ফলমুল খাওয়া এবং চিকিৎসকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পরামর্শে দেন তিনি। এখানে চিকিৎসা সেবার কোন ক্রুটি নেই। সাধ্যমতো আগত রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন বলে জানায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads