ভালুকার কলেজ ছাত্র সাঈম খান হত্যার এজাহার ভূক্ত ১নং আসামি আমান উল্লাহ (৪৮)কে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার বলরামপুর গ্রামে তার এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গতকাল বুধবার সকালে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত আমান উল্লাহ উপজেলার মেহরাবাড়ি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত-আলী আজমের ছেলে।
আজ বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র থেকে জানা যায়, র্যাব- ১৪একটি দল মামলার এজাহার ভূক্ত হুকুমের আসামি আমান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করার পর বুধবার ভালুকা মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর দিকে গত সোমবার রাতে পুলিশ নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার তারাকান্দা গ্রামে মামলার প্রধান আসামি আমান উল্লাহর ছেলে সাব্বির হোসেন (২০), হাবিবুর রহমান হবির ছেলে সোহাগ মিয়া (১৯) ও মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সারোয়ার আলম সারু (১৯) গ্রেপ্তার করে। তাদের সবার বাড়ি উপজেলার মেহরাবাড়ি গ্রামে। সাব্বির ও সোহাগ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকরোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মেহদী হাসান জানান, গ্রেপ্তারকৃত আমান উল্যাহ খান বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ আগে তিন আসামির মাঝে সাব্বির ও সোহাগ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফেইসবুকে মন্তব্য করাকে কেন্দ্র করে গত সোমবার (৬ জুন) সকালে উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের সিডস্টোর বাজার এলাকার নাজিম উদ্দিন খানের ছেলে কলেজ পড়ুয়া ছাত্র সাঈম খান (১৮) প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হয়।