পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে উপজেলায় খামারি ও গৃহস্থরা এক প্রকার ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তারা কোরবানির পশু বিক্রির জন্য এ বছর দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজাকরণে কাজ করে যাচ্ছেন।
খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খামারগুলোর বেশির ভাগেরই উদ্দেশ্য হলো ঈদকে সামনে রেখে গরুকে মোটাতাজা করা। প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করতে ও সুস্থ রাখতে খড়, তাজা ঘাস, খৈল, ভূষিসহ পুষ্টিকর খাবারের মাধ্যমে দেশীয় জাতের গরুই বেশি লালনপালন করছেন। বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন ওইসব পশুগুলোকে। কিন্তু যতই ঈদ ঘনিয়ে আসছে, সে অনুযায়ী করোনা মহামারির সময়ে পশু বিক্রি নিয়ে এক প্রকার দুশ্চিন্তায় ভুগছেন খামারি ও গৃহস্থরা।
করোনায় যখন গোটা দেশ থমকে গেছে তখন কোরবানির পশু বিক্রি বা দাম সঠিকভাবে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছেন ফকিরহাটের খামারিরা। এছাড়া যারা বাড়িতে বেশি দামের আশায় যারা গরু পালন করছেন তারা গরু বিক্রি করতে পারবেন কিনা অথবা সঠিক দাম পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. পুস্পেন কুমার শিকদার জানান, উপজেলার আটটি ইউনিয়নে পাঁচ হাজার পশু প্রস্তুত। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ অফিসের অনলাইন পেজে পশুর ছবি দিয়ে পশু বিক্রির জন্য খামারিদের সহযোগিতার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।