• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
দৌলতদিয়া -পাটুরিয়া নৌরুটে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সকাল সাড়ে ১০টার পর ঘাট ফাঁকা

দৌলতদিয়া -পাটুরিয়া নৌরুটে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন

  • রাজবাড়ী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জুলাই ২০২১

প্রিয়জনদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের প্রচণ্ড ভিড় সৃষ্টি হয়েছে। তবে সাড়ে ১০টার পর থেকে ঘাট এলাকা ফাঁকা হয়ে যায়। চলছে কঠোর লকডাউন।

ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, শুক্রবার হতে কঠোর লকডাউনের কারণে বৃহস্পতিবার সারাদিন ও সারা রাত কর্মীজীবি মানুষেরা দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছায়। কিন্তু বহু যানবাহন পারাপার হতে না পারায় শুক্রবার সকাল হতে ঘাট এলাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকায় ঘাটে অনুমোদিত আর কোন যানবাহন ঘাটে প্রবেশ করতে পারছে না।বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনে যাত্রীরা ঘাটে আসলেও তাদেরকে পথে পথে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে।

সূত্র মতে, করোনা সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধি-নিষেধের প্রথম দিন শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে নদী পারের জন্য সিরিয়ালে অপেক্ষা করছিল অন্তত ৩ শতাধিক যানবাহন। সড়কে ছিল দীর্ঘ সিরিয়াল। লকডাউন শুরুর আগের রাতে মূলত এ সকল যানবাহন নদী পারাপার হতে ঘাট এলাকায় এসে নদী পার হতে না পেরে আটকা পড়ে। তবে নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি চালু থাকায় শুক্রবার সকাল ১১ টার মধ্যে সিরিয়ালে থাকা যানবাহনগুলো নদী পার হয়ে যায়।

বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, সিরিয়ালে থাকা যানবাহন পারাপার শেষ হয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আরিচা লঞ্চ মালিক সমিতির দৌলতদিয়া ঘাট শাখার নুরুল আনোয়ার বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৬ টার পর থেকে কোনো লঞ্চ ছাড়ছে না। তার আগে ঘাটে আসা যাত্রীদের দ্রুত লঞ্চে তুলে দিয়ে ঘাট ছাড়া হয়। পরে ঘাটে আসা যাত্রীদের লঞ্চের পরিবর্তে ফেরিতে নদী পাড়ি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ শিহাব উদ্দিন বলেন, আগের দিন রাতে এসে নদী পারের জন্য আটকে থাকা বাসগুলো সকাল ১১ টার মধ্যে নদী পার করা হয়। এরপর থেকেই দৌলতদিয়া ঘাট ফাঁকা। রুটের ১৬ টি ফেরির মধ্যে জরুরি যানবাহন পারাপারের জন্য ৩ টি চালু রেখে অন্য ফেরিগুলো ঘাটে নোংর করে রাখা হয়েছে। লকডাউন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads